লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর গ্রামে বুধবার রাতে গ্রাম্য শালিসে মাতব্বররা শিশু বলৎকারের দায়ে ইউসুফ মল্লিকের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। কিন্তু বলংকারে শিকার শিশুর মা ওই টাকা প্রত্যাখান করে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বলৎকারে অভিযুক্ত ইউসুফ মল্লিক কালিকাপুর গ্রামের মল্লিক বাড়ির অলি আহম্মেদের পুত্র এবং ডা¹াতলী বাজারের ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযুক্ত ইউসুফ মল্লিক আত্মগোপন করে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার রসুলপুর গ্রামের হল্লিক বাড়ির এতিম শিশু ইমন (১০) টাকা লোভ দেখিয়ে পার্শ্ববর্তি কালিকাপুর গ্রামের মল্লিক বাড়ির ইউসুফ মল্লিক বুধবার বেলা ২টার দিকে পরিত্যাক্ত বাগানে নিয়ে বলৎকার করে। এতে শিশু অসুস্থ অবস্থা বসতঘরে ফিরে মা রিনা বেগমকে জানায়। মুহুর্তের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলেও রাতে গ্রাম্য মাতব্বর কালিকাপুর গ্রামের ফজলু ভূইয়া,স্বপন ভূইয়া,দেওয়ান গোলাম মুক্তাদি,আমির হোসেনের নেতৃত্বে গ্রাম্য বৈঠক বসে। বৈঠকে বলৎকারের দায়ে অভিযুক্ত ইউসুফ মল্লিকের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। শিশু ইমনের মা রিনা বেগম বলেন,বুধবার রাতে শালিস বৈঠকের পুর্বে মোহাম্মদিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ২/৩ জন পুলিশ ঘরে আসে। কিন্তু কিছু লোকজনে আমাকে ভয়ভীতি দেখানোর কারণে কিছু বলতে পারি নাই। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও অভিযুক্ত যুক্তকে পাওয়া যায়নি। তবে গ্রাম্য মাতব্বর আমির হোসেন বলেন,ঘটনাটি সমাধান দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। ভিক্টিমের চিকিৎসার জন্য ৫হাজার টাকা দিতে চাইলে শিশুর মা তা প্রত্যাখ্যান করে। মোহাম্মদিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস.আই জসিম উদ্দিন বলেন,গ্রামের লোকজনের থেকে সংবাদ পেয়ে আমরা ২ কর্মকর্তা ওই বাড়িতে গেলে শিশুর মা কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। তার পরেও আমি উর্ধতম কর্তপক্ষকে অবহিত করেছি।