ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্মানাধীন শপিংমল এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ পৌরসভা মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এ সময় পৌর মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু, প্যানেল মেয়র আবদুল মতলেব মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান খোকা, নিশচা জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড. মনোয়ারুল হক লালসহ পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনের পৌর মেয়র জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পৌর শপিংমল নির্মিত হচ্ছে। প্রথমদিকে ২য় তলা ও পরবর্তীতে ১০ তলা ভবন নির্মান করা হবে। এখানে থাকছে কিডস জোন, শেখ হাসিনা উদ্যোক্তা কর্নার, জিমনেশিয়াম, কমিউনিটি সেন্টার, মিনি আই টি পার্ক, আধুনিক পার্কিংসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা।
কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থের হানী হওয়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, শহরের কতিপয় স্বার্থান্বেষী মানুষ আছে যাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে আঘাত পড়লেই তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি রাস্তা সম্প্রসারণে কিছু মানুষকে অবৈধ দখলে থাকা দোকান ঘর উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়ার পর তারা ষড়যন্ত্রমুলক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ঝিনাইদহ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রথম টু ই ডি ক্লাব ছিল। পরবর্তীতে তা পৌরসভায় হস্তান্তরিত হয়। ১৯৭৪ সালে সাবেক চেয়্যারম্যান আমির হোসেন মালিথা শহীদ মিনার নির্মাণ করেন। পৌর ভবনের সামনে। ১৯৭৮ সালে সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মার্কেট নির্মাণ করেন। ১৯৯৫-৯৬ সালে সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান খোকা কমিউনিটি সেন্টার, দ্বিতল পৌর মার্কেট নির্মাণ করেন। ২০০৬ সালে সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মালেক নতুন পৌর ভবন নির্মাণ করেন এবং ভবনের পাশে কিছু বেঞ্চ স্থাপন ও ঝাউ গাছ লাগান হয়। ওই প্রকৃত পক্ষে কোন শিশু পার্ক ছিল না। যেখানে বর্তমানে ঝিনাইদহ পৌরসভা একটি অত্যাধুনিক মার্কেট নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এ মার্কেট নির্মাণের পূর্বে ২০১৫ সালের ২২ জুন সিআইপি করে সর্বসাধারণের মতামত নিয়ে মার্কেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও যে স্থানে ভবন নির্মান করা হচ্ছে সেটি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় অনুমোদিত।