বগুড়ার নন্দীগ্রামে মাদরাসা ছাত্রীকে ইভটিজিং এর শালিস বৈঠকে হাতাহাতি এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লাঞ্চিত হয়েছে। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে নন্দীগ্রামের কালিশ পুনাইল ফাজিল মাদরাসায় এঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার চাকলমা গ্রামের খোকন ওই মাদরাসার দশম শ্রেনীর ছাত্র। খোকন একই মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যাতায়াতের পথে মাঝে মধ্যেই ইভটিজিং করতো। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা মাদরাসার অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার সকাল ১০ টায় উভয় পক্ষের অভিভাবককে মাদরাসায় ডাকা হয়। গভর্নিং বডির সভাপতি বেলাল হোসেনের অধ্যক্ষের কক্ষে শালিস বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলাকালে বেলা ১১ টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায় অভিযোগ কারী ছাত্রীর ভাই সাব্বির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে চেয়ার দিয়ে আঘাত করেন। পরে অন্যান্য শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়। এঘটনার পর উভয় পক্ষের লোকজন মাদরাসা মাঠে অবস্থান নেয়।
মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাকির হোসেন বলেন, আমাকে কেউ লাঞ্চিত করেনি। বরং ছেলে পক্ষের লোকজন মেয়ে অভিভাবকের হাত ধরে ক্ষমা নিয়েছেন তিনি বলেন প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে কত ঘটনাইতো ঘটে থাকে।
গভর্নিং বডির সভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়েছে। তেমন কোন বিষয়না। কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির বলেন, এধরনের খবর পেয়ে, মাদরাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।