ফরিদপুরে পাওয়ার টিলার চালিত বীজ বপন মেশিনের সাহায্যে সারিবদ্ধ ভাবে আউশ ধান উৎপাদন বিষয়ে অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ অবহিতকরণ কর্মশালার আগে ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচ নারীর মধ্যে পাওয়ার টিলার চালিত বীজ বপন যন্ত্রের স্টার্টার কিট বিতরণ করা হয়।
সভায় জানানো হয়, ফরিদপুর অঞ্চলের ১৪জন নারী পাওয়ার টিলার চালিত সিডার ব্যবহার করেন। কিন্তু সিডার মেশিন চালু করার ক্ষেত্রে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন তা নারীদের সাধারণত থাকে না। এ কারণে ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে, আন্তর্জাতিক ভুট্রো ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) বাংলাদেশ ফরিদপুর হাব ওই ১৪জন নারীকে মেকানিক্যাল স্টার্টার কিট দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে গতকাল পাঁচজন নারীকে মেকানিক্যাল স্টার্টার কিট দেওয়া হয়।
এদিকে অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক পার্থ প্রতীম সাহা।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাইম আস সাকীব, রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুর রহমান, গোপালগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রমেশ চন্দ্র ব্রহ্ম, শরীয়তপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আমীর হামজা, মাদারীপুরের কৃষি সম্প্রসারণ াধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জি এম গফুর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ফরিদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেলিম আহমেদ এবং সিমিট বাংলাদেশ ফরিদপুর হাব সমন্বয়কারী হিরা লাল নাথ।
বক্তারা বলেন, কৃষিতে লাভজনক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে যান্ত্রিকীকরণের কোন বিকল্প নেই। পাশাপাশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণে নারী শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। দেশের অর্ধেকের বেশি নারী। তাদের ঘরে তালা দিয়ে রেখে দেশের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার ২৯টি উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, ফরিদপুর হাবের কর্মকর্তাগণ, কৃষি যন্ত্রপাতি বিক্রির ডিলারগণ, মেকানিকগণ উপস্থিত ছিলেন।