ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হত্যা মামলার আসামিরা বাদীর ভাই মাদ্রাসা ছাত্র জীবন মিয়াকে (১৮) অপহরণের পর হত্যার চেষ্টা করেছে। খবর পেয়ে গফরগাঁও থানার পুলিশ অপহৃত জীবন মিয়াকে উদ্ধারের অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালীন সময় অপহরণকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময় হয়। এতে পুলিশ কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের বোরাখালীচরে ঘটে।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ৫ই মে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের বোরাখালীচরে আবুল কালাম এর সঙ্গে সহোদর ভাই জালাল ও হেলালের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে আবুল কালামকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ সহোদর ভাই জালাল ও হেলাল। ঔ ঘটনায় নিহতের মেয়ে সাবিনা খাতুন বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামিরা মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য বাদী সাবিনা খাতুনকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে আসছিল। শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে হত্যা মামলার আসামি আলামিন নিহত আবুল কালামের ছেলে, চরমছলন্দ জিরাতিপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জীবন মিয়াকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণের পর জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে গফরগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অপহৃত জীবনকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। পুলিশের অভিযান চলাকালীন সময় পুলিশ ও অপহরণকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়। আহতরা হলেন- গফরগাঁও থানার এসআই আহসান হাবিব, এসআই জাকিউর রহমান, এসআই খায়রুল ইসলাম, কনস্টেবল সোহেল, কনস্টেবল মাসুদ, হত্যা মামলার বাদী সাবিনা খাতুন ও অপহৃত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জীবন মিয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ ৬ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় গফরগাঁও থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গফরগাঁও থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) অনুকূল সরকার বলেন, অপহৃত জীবনকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ ৭ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে। দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ অপহরকারীকে। গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীদের শনিবার ময়মনসিংহ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।