লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পূর্ব কেরোয়া এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে লম্পট বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকালে রায়পুরের পূর্ব কেরোয়া এলাকায় স্কুলের পার্শ্বে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই একটি গ্রাম্য সালিশীতে ৫ লাথ টাকা রফা-দফার মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে।
এদিকে স্কুল ছাত্রীর বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় না গিয়ে রফা-দফায় সমাধানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান,প্রতিদিনের মতো পূর্ব কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে তৃতীয় শ্রেণির পাঠদান থেকে ছুটির পথে তাকে ৫ টাকা ও চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্বের বাড়িতে নিয়ে একই এলাকার বেলায়েত হোসেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্কুল ছাত্রীর মা ওইদিন বিচার দাবী করে স্কুলে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্্য শিক্ষকদের কে অবহিত করেন। পরে শিক্ষকদের পরামর্শে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার আশ্বাসে রায়পুরে এক মানবিধিকার কর্র্মী অফিসে উপস্থিত হন বেলায়েত হোসেনসহ স্বুল ছাত্রীর মা ও দাদা। ওই সময় ৫ লাখ টাকার রফা-দফায় সমোজোতা হয়।
স্কুল শিক্ষিকা সুমি আক্তার জানান, চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্ঠা। ওই ঘটনা জানাতে স্কুলে এসেছিলেন ওই ছাত্রীর মা।পরে তারা বিষয়টি দু:খ জনক বলে এ ব্যাপাওে অভিযুক্তের বিচারের জন্য থানা পুলিশ করতে পরামর্শ দিয়ে ছিলেন ছাত্রীর মাকে। তারা তা না করেই গ্রাম্য বৈঠকে সমাধায় জান। এ ধরনের ঘটনা হলে ভবিশ্যতে আরো অপরাধ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
এ ব্যাপারে বেলায়েত হোসেন জানান,শিশুটিকে তিনি আদর করে ৫ টাকা ও চকলেট দিয়েছেন তিনি। তবে এ বেশি কিছুই করেন নাই। যা শুনেছেন তা মিথ্যে। মানসম্মানের দিক তাকিয়ে রায়পুরের একটি মানবাধিকার কর্মীর অফিসে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে এ ঘটনা মিমাংসা হয়।
রায়পুর থানার ওসি তোতা মিয়া জানান, এ ধরণের ঘটনা গ্রাম্য সালিশী বৈঠকে মিমাংসার বিষয় না। তবে এ ঘটনায় থানায় এখোনো অভিযোগ করেনি কেউ। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।