মেহেরপুরের গাংনীর বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি হাইকোর্ট বেঞ্চে অপরটি মেহেরপুর দেওয়ানী আদালতে মামলা দুটি দায়ের করা হয়। একটি মামলায় আদেশ দিলেও অন্য একটি মামলায় শুনানীর জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান হাসান জানান,নানা অনিয়মের অভিযোগে তিনি মেহেরপুর দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা দায়ের কেেছন যার নং ৩৮/১৯। মামলাটি আমলে নিয়ে কারণ দর্শানোর ও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তিনি বলেন, নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করেই বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে অবৈধভাবে ভোটার তালিকা করে নির্বাচন করে। মেহেরপুর দেওয়ানী ৩৮/১৯ নং মামলা সূত্রে ও বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান হাসান জানান, তিনি গত ২৮/০২/২০০২ সালে ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা প্রদান করে আজীবন দাতা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। ইতোপূর্বে অভিভাবক সদস্য ও পরপর ৩ বার সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু বিধি মালা লঙ্ঘন করে তৎকালিন দাতার সদস্য প্রয়াত আকবর আলীর নাতিন ছেলে গিয়াস উদ্দীনকে দাতা সদস্য করে। সাবেক দাতা সদস্য’র কোন উত্তরসূরি টাকা জমা না দিলে দাতা সদস্য হতে পারবেনা এমন নিয়ম থাকলেও প্রধান শিক্ষক গোপনে সেই নিয়মকে ভঙ্গ করে গিয়াস উদ্দীনকে দাতা সদস্য করেছে। প্রধান শিক্ষক মো: মনিরুল ইসলাম খসড়া ভোটার তালিক প্রনয়ন করিবার সময় বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চমাধ্যমিকবিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটি প্রবিধান মালা ২০০৯ অনুসরণ না করে ষড়যন্ত্রেও মাধ্যমে মনগড়া ও নিজ পছন্দের ব্যক্তিকে ভোটার হিসেবে অন্তভুক্ত করিয়া এবং অপছন্দের ব্যক্তি ভোটার হিসেবে অন্তভুক্ত না করিয়া ভোটার তালিকা প্রনয়ন করে। এ অবৈধ কাজের প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে মশিউর রহমান হাসানকে আজীবন দাতা সদস্য না করেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা প্রনয়ন করেন। এ ছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ উর্ত্তীণের ৮০ দিন পুর্বে সকল শ্রেনীর সদস্য পদের জন্য পূথক পূথক খসড়া ভোটার তালিক প্রনয়নের বিধান থাকলেও তা করেনি প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম। অপরদিকে বিদ্যালয় অধ্যয়নরত সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ভোটার তালিকায় অন্তভুক্ত করার বিধান থাকলেও প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম তা করেনি। এমনকি নোটিশ বোর্ডের ভোটার তালিকা টাঙ্গানো হয়নী। মামলার আরজিতে আরো বলা হয়েছে,প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম তার পছন্দের ব্যক্তিকে ম্যানিজিং কমিটির সদস্য করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে ৬ষ্ট শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত ৬৩ জন ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকের নাম ভোটার তালিকায় ভুলভাবে লিপিবদ্ধ করেছে। এ ছাড়া ২ নং বিবাদী গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর হাবিবুল বাশার খেয়াল খুশিমত ঈদুল আজহার ছুটিতে দৈনিক চুয়াডাঙ্গা পত্রিকায় গত ৮ আগস্ট তফশিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র উত্তোলন ও জমা ৯,১০ ও ১১ আগষ্ট। বাছাই ১৪ আগস্ট ও প্রত্যাহার ১৬ আগস্ট ভোট গ্রহন ২৯ আগষ্ট। অপরদিকে ভুয়া ভোটারদের দিয়ে নির্বাচন কার অভিযোগে নির্বাচন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেছেন জামিরুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক সদস্য। রিট নং ৯৯৬৫/২০১৯। রিটটি শুনানীর জন্য অফেক্ষমান রয়েছে। ১ নং বিবাদী প্রধান শিক্ষক মো: মনিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।