কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ মহাসড়কের ছালাভরা নামক স্থানের ব্রীজটি ফেটে দেবে গেছে। দেবে যাওয়া ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। সড়ক বিভাগ বলছে, নতুন ব্রিজ করতে হবে। কাজ শুরু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এ ব্রীজে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোন সময়। এ ব্রীজ দিয়ে দিন রাত সর্ব সময় যানবাহন চলাচল করে। ব্রীজের নিচ দিয়ে বড় খাল দিয়ে সব সময় পানি প্রবাহিত হয়।
প্রায় ৩ মান খুলনা, ঢাকা, যশোরসহ সারা দেশের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী এ মহাসড়কের পুরনো ছালাভরা ব্রজি ভয়াবহ ফাটল দেখা দেয়। এরপর সড়ক বিভাগ থেকে ব্রীজের পাশে মোটা টিনের চাপট দিয়ে পিচ দিয়ে রেখেছে চলাচলের জন্য।ব্রজিটি বন্ধ করতে পারছে না, বন্ধ করলে সারা দেশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। ব্রীজের সমস্যার কারণে প্রায় দূর্ঘটনা ঘটছে। প্রায় ১ মাস আগে ব্রীজের উপর থেকে ট্রাক খালের মধ্যে পড়ে দু,জন মারা গেছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর একটি ট্রাক অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে, ট্রাকটি খালে নিচে পড়েনি। পড়লে প্রানহানির ঘটনা ঘটতো।
ছালাভরা ব্রীজের মধ্য খানে বড় ধরনের বসে গেছে যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে।এরপর থেকে ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এতে প্রতিনিয়ত যানজটে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। ঝিনাইদহ শহরে ও কুষ্টিয়া, মাগুরা, রাজশাহি,রংপুর, সিলেট কালীগঞ্জ, খুলনা বা ঢাকাসহ সারা দেশের একমাত্র যোগাযোগের পথ। যাবার সড়কের উপর এই ব্রীজটি স্থানীয়রা জানায়, অত্যন্ত ব্যস্ততম এই মহাসড়ক। প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। দিন রাত ২৪ ঘন্টা যানবাহন চলাচল করে থাকে। এমন কোন যানবাহন নেই যা চলাচল করে না। সকল প্রকার যানবাহন চলাচল করে থাকে মারাতœক ঝুকিপূর্ন ভাবে। ১০ চাকার ও ১৪ চাকার ট্রাক ভারি মালামাল নিয়ে যশোরের দিকে যাবার সময় মাগুরা হয়ে যাচ্ছে আবার অনেকে মাগুরা হয়ে ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছে। মহাসড়কের ব্রিজটি প্রায় ৩ মাস ধরে ভেঙে পড়ায় চরম ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। সেখানে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।পথচারী আবদুল গণি বলেন, সড়কটি এ অঞ্চলের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে সবার। ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানাই আমরা।
এ ব্রীজে প্রতিদিন যানবাহনের জ্যাম হচ্ছে ঘন্টার ঘন্টা, পরে পুলিশ বা অন্যান্ন্য সদস্যরা গিয়ে জ্যাম ছুড়িয়ে দিচ্ছে। ব্রীজটি ক্রমেই চেপে যাচ্ছে অরেনক চালকরা গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে দেখে তার পরে যানবাহন পার করছে। যেহেতু বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মহাসড়ক এটা। বিকল হয়ে পড়লে তখন মাগুরা দিয়ে যেতে হবে। ব্রীজ থেকে নিচের খাল প্রায় ৩৫ ফুট। গাড়ি পড়লে প্রান হানি ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন প্রশাসনই বিষয়টি আমলে গ্রহন করছেন না। এর আগে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে আবার একটি ট্রাক পড়ে রয়েছে আর মটর সাইকেল প্রায় দিনই পড়ে থাকে। সামনে ১মাস পরে মোবারকগঞ্জ চিনি কলের মাড়াই মৌসুম চালু হবে সে সময়ে ট্রাকটরে আখ বহন করা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়বে। প্রায় ৩ মাস এভাবে পড়ে থাকলে ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নজরে না আসার রহস্য কি। প্রথমে এখানে খেজুর গাছের পাতা দিয়ে নিশানা করা ছিল এখন বাশের মাথায় লাল কাপড়ের পতাকা বেধে রাখা হয়েছে রাস্তার মধ্য খানে। যাতে করে দূর থেকে যানবাহনের চালকরা দেখতে পায়। ব্রীজের দু,পাশ কোন রকম আছে কিন্তু মাঝের অংশ দেবে ভেঙ্গে পড়েছে। আর এ ঝুকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।