প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে দাকোপে কথিত প্রেমিক কর্ত্তৃক কলেজ ছাত্রীকে অপহরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণ মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
লিখিত এজাহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মৌখালী গ্রামের কুদ্দুস শেখর কলেজ পড়-য়া কন্যা মরিয়ম খাতুন (১৫) কে বেশ কিছুদিন যাবৎ উত্ত্যক্ত করে আসছিল একই এলাকার হায়দার শেখের পুত্র মুরাদ শেখ। মরিয়ম চালনা কেসি কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী। প্রতিদিন কলেজে যাওয়া আসার পথে বখাটে মুরাদ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে তাকে গত বেশ কিছুদিন যাবৎ উত্ত্যক্ত করে আসছিল। মেয়ের মুখে বিষয়টি শুনে মরিয়মের বাবা তাকে নিষেধ করে ব্যর্থ হয়। নিরুপায় হয়ে কন্যাকে পানখালী গ্রামে তার আত্মীয় মেহেদী শেখের বাড়ীতে রেখে কলেজে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে বলে জানা যায়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে মরিয়ম আত্মীয়ের বাড়ী থেকে কলেজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোজ হয়। পরবর্তীতে তার পরিবার বহু খোজাখুজির পর জানতে পারে ঘটনার দিন সকালে পানখালী জাবেরের খেয়াঘাট নামক এলাকা থেকে মুখে রুমাল দিয়ে অজ্ঞান করে মরিয়মকে অভিযুক্ত মুরাদ মটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রোকন শেখ ফেরীঘাটে মুরাদের নিকট অচেতন মেয়েটির বিষয় জানতে চাইলে বলে সে অসুস্থ হয়েছে তাই খুলনায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে মরিয়মের পিতা রোকনের নিকট থেকে এমন তথ্য পায়। এ ঘটনায় কন্যাকে উর্দ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রীর বাবা কুদ্দুস শেখ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মুরাদ শেখের বিরুদ্ধে অপহরণ ও পাচারের অভিযোগ এনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।