সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে কালিঞ্জা গ্রামে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বুদ্ধি ও বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরী(১৪) কে বিস্কুট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে প্রতিবেশী শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪৬) তার বসত বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে আসামি করে বুধবার রায়গঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে। স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, পাঙ্গাসী ইউনিয়নের কালিঞ্জা গ্রামের সোলেমান মাষ্টারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম কামারখন্দ উপজেলার চরভদ্রঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। শিক্ষক সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অনুমান দুপুর দের টার দিকে বুদ্ধি ও বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৪) বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে কৌশলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কিশোরী মেয়েটির বাড়ী ওই শিক্ষকের পাশে হওয়ায় মেয়েটি দৌড়ে বাড়ীতে এসে ইশারা ইঙ্গিতে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তার ভাবি শারমিন খাতুনকে বোঝানোর চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে নিষ্পত্তি করতে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে গ্রামে বৈঠক হলে প্রভাবশালী শিক্ষকের প্রভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ধর্ষিতার বাবা মোঃ ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় ধর্ষক জাহাঙ্গীর আলম (৪৬) কে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ১৩/১৯। এ প্রসঙ্গে কামারখন্দ উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, এমন অভিযোগের কথা জানা নেই। তবে তিনি অসুস্থ্যতাজনিত কারণে ৩ দিনের ছুটিতে আছেন। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ পঞ্চনন্দ সরকার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আশা করছি আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।