২৫ আগস্ট ২০১৭ সংগঠিত কথিত সন্ত্রাসী হামলার জবাবে উত্তর রাখাইনে ভয়ংকর পোড়ামাটি নীতিতে অভিযান চালায় মিয়ানমার সেনা বাহিনী। নাটাল বাহিনী ও রাখাইন জনগোষ্ঠীর নির্যাতন, ধর্ষন, হত্যার হাত থেকে বাঁচতে প্রায় ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। মিয়ানমার সেনা বাহিনী রাখাইন রাজ্যে থেকে রোহিঙ্গা মুক্ত করতে যে অভিযান চালায় তার নামকরণ করা হয় ( অপারেশন ক্লিয়ারেন্স)। যা বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট থেকে বিশ্ব মানবাধিকার সংগঠন গুলো শুরু থেকেই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রতি অভিযানকে গণহত্যা আর জাতিগত নিধন অবহিত করে। বাংলাদেশ সরকার ১২ লক্ষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন আন্তর্জাতিক মহলে। সত্যি বলতে এটা খুব দুঃখজনক যে আন্তর্জাতিক মহলের আশ্বাস আর সামান্য কিছু সাহায্য সহায়তা ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোরালো কোন পদক্ষেপ নেই বলেই চলে। মিয়ানমার সরকার আন্তর্জাতিক মহল এবং জাতিসংঘ ( রাষ্ট্রসংঘ) কে পাত্তাই দিচ্ছেনা। যে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসংঘ সংগঠনটির ( অক্টোবর ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী ১৯৩ টি দেশ সদস্য) সেই জাতিসংঘকেই পাত্তাই দিচ্ছেনা বা শুনেছে না তাদের কথা মিয়ানমারের সরকার। আজ জাতিসংঘের কার্যক্রমে দেশবাসী আস্থাহীনতায় ভুগছে। আজ প্রশ্নবিদ্ধ জাতিসংঘ, কি এমন ক্ষমতাধর দেশ মিয়ানমার যেখানে জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধি দল প্রবেশ করতে পারেনা। যা দেশ ও বিশ্ববাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন জাতিসংঘের প্রতি এখনো বাংলাদেশের আস্থা বিশ্বাস ভালোবাসা আছে। এখনো বাংলাদেশের সরকার জনতা আন্তর্জাতিক মহল ও আন্তর্জাতিক সংগঠন গুলোর দিকে তাকিয়ে আছে। কঠিন কোন পদক্ষেপে না যেয়ে। তাই বাংলাদেশ একটি ছোটো দেশকে বিশাল রোহিঙ্গা সংকট থেকে মুক্ত করতে জাতিসংঘকে বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাসীন প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা গুলো সমাধান করতে হবে। নইলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমস্যাই থেকে যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবো আমরা বাংলাদেশের পুরো জাতি।