বগুড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কুঁচি করা টাকা সুনিদিষ্ট ডাম্পিং গার্বেজের নির্ধারিত স্থানে না ফেলায় বগুড়া পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তিন কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে।
বুধবার সকালে বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ্যাড. একেএম মাহবুবুর রহমান ওই ৩ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়েছেন।
যাদের শোকজ করা হয়েছে তারা হল, বগুড়া পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম একই বিভাগের মামুনুর রশিদ এবং বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা রাফিউল আবেদীন
বগুড়া পৌরসভার একটি দায়িত্বশীল জানানো হয় যে, কারণ দর্শাও নোটিশ প্রাপ্ত ওই তিন কর্মকর্তাকে আগশী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সাথে পৌর সভার যে ট্রাকে কুঁচি নোটের ওই টুকরোগুলো বহন করা হয়েছিল সেটির ভাড়ার চুক্তিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এ ব্যপারে পৌর সভার অপর একটি সূত্রে বলা হয় যে, বগুড়া পৌরসভা এলাকার বর্জ্য ফেলার জন্য শহরতলীর বাঘোপাড়া এলাকায় একটি ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে পৌরসভার জন্য ১২টি ভাড়া করা ট্রাকে প্রতিদিন বর্জ্যগুলো নিয়ে সেখানে ফেলা হয়। নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্জ্যগুলোও সেখানে ফেলার কথা ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বশীলদের দায়িত্বহীনতা ও কাজে গাফিলতির কারণে ভাড়ায় চালিত ট্রাকের চালক কান্ডজ্ঞানহীন ভাবে সেগুলো শাজাহানপুরের খারুয়া বিলের পাশে ফেলে রেখে আসে।
ব্যাংকের বাতিল ও কুুচিঁ করা বিপুল পরিমাণ টাকার টুকরো গুলো উপজেলার একটি নির্জন এলাকায় ফেলা নেখে আসা হলে স্থানীয় জনগণের মধ্য তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি সর্বত্ব ব্যপক চাঞ্চাল্যর সৃষ্টি হয়।
পরে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানা যায় টুকরো করা টাকাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের বাতিল ও অপ্রচলনযোগ্য।
বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ্যাড. একেএম মাহবুবুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, রাষ্ট্রিয় ব্যাংকের বাতিল নোটের টুকরাগুলি অপসারণের ঘটনা একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। সেক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতারা দায়িত্বে পালনে সীমাহিন অবহেলা করেছেন । বিধায় তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। তিনি বলেন সঠিক ও সন্তোষ জনক জবাবদিহী না পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে তিনি বাধ্য হবেন।