মাননীয়া প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক শুদ্ধি অভিযান ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সম্প্রতি রাজধানী সহ বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত অভিযানের আতংকের ছোঁয়া কি বগুড়াতেও লেগেছে দেশ ছোড়তে চাইছেন বগুড়ার বেশ কযেকজন।
গড ফাদার ,নিরব ও গ্রুপচাঁদাবাজ ,দূর্নীতিবাজ ,দখলবাজ, জুয়া হাউজি, টেন্ডারবাজি, মাদকের গড ফাদার সহ ও ২ নাম্বরী প্রেস মালিক ও ওষুধের কারবারি সহ ভুমি সন্ত্রাসের মাধ্যমে কোটি কোটি কালো টাকা কামানোর সাথে জড়িতদের অনেকেই এখন গা ঢাকা দেয়া শুরু করেছেন বলে বগুড়ার আকাশ বাতাশে চাওর হয়েছে। ইত্বমধ্যই এদের মধ্য বেশ কয়েকজন এখন দেশ ছেড়ে পালানোর আভাসের ধারনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ আগেও যারা বুক ফুলিয়ে সগর্বে দেহ রক্ষি সম্বলিত (গানম্যান)সহ কিংবা দামী দামী গাড়ীতে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তাদের মত বাঘরা হঠাৎ করেই যেন কাগজের বাঘ বনে গেছেন।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে জানা গেছে ইত্বমধ্যই বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা ট্রাভেল এজেন্সি গুলোতে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ইন্ডিয়া, থাইল্যান্ড, সহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমনের জন্য জমা পড়ছে ডজন ডজন ভিসার প্রসেসিং এ্যপ্লিকেশন।
একটি নির্ভরযোগ্য তথ্যমতে, বগুড়ার কয়েক ডজন কালো টাকার মালিক মালয়েশিয়ায় সহ বেশ কয়েকটি দেশে সেকেন্ড হোম সুবিধা হাসিল করে নিয়েছেন। আরো দুই শতাধিক ব্যক্তি এখনও এ্যাপ্লিকেন্ট প্রসেজিং পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে নাগরিকত্ব নিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত মিনহাজ¦ মন্ডল নামে বগুড়ার এক ব্যক্তি কমিশনের বিনিময়ে একাজে সহায়তা করছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির সহায়তায় বেশ কয়েক কালো টাকার মালিক মালয়েশিয়ায়, শপিং মল, সুপার মার্কেট সহ আবাসিক হোটেল ব্যবসায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন কয়েক বছর আগে থেকেই।
এছাড়াও আরো জানা গেছে ,বগুড়ার বেশ কয়েকজন ব্যাক্তি যাদের অধিংকাংশই বিগত কয়েক বছরে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে তাদের বেশ কয়েকজনের ভারতের নাগরিক্তত্ব এবং সেখানে তাদের ব্যবসা বানিজ্য এমনকি বাড়ী ঘড় থাকার পরও তারা এবারে সেখানেও যেতে নিরাপদ মনে করছেন না। ফলে গত কয়েক বছরে কালো টাকার মালিক বনে যাওয়া তাদের কয়েকজন এখন মেলেশিয়া, সিংগাপুর কিংবা কয়েক মাসের জন্য অন্যকোন নিরাপদ দেশে যাবার জন্য মুখিয়ে আছেন।
ওই সব ব্যক্তিদের মধ্য কয়েকজন ভারতের শিলিগুড়ি কোলকাতা সহ বিভিন্ন বড় নগরীতেও বগুড়ার অনেক ব্যবসায়ীরই বেনামে বিনিযোগ রয়েছে বিনিয়োগের বিষয়টি প্রায় অপেন সিক্রেট বিষয়ে পরিনত হয়েছে।
এ বিষয়ে আরো জানা যায়, সরকারী একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা সম্প্রতি বগুড়ার পরিবহন সেক্টরের কমপক্ষে ৬জন, ২ উপজেলা চেয়ারম্যান, ওষুধ এবং সরকারি মেডিকেলে সরবরাহের সাথে জড়িত এমন ২জন, টেন্ডারে চমক দেখানো কমপক্ষে ৪জন সহ বেশ কজনের নামে তদন্ত রিপোর্ট সরকারের সর্বোচ্চ মহলে ইত্বমধ্যই পাঠানো হয়েছে এমন তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে গত কয়েক দিনে বগুড়ার কমপক্ষে ২সংসদ সদস্য সহ এমন কিছু ব্যাক্তির বরাবরে দূদকের নোটিশ প্রাপ্তির ঘটনা এবং অতি সম্প্রতি মাননীয়া প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক শুদ্ধি অভিযানের ঘোষনায় ওই সব ব্যাক্তিদের রাতে ঘুম এখন হারাম হয়ে গেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।