বগুড়ার শেরপুরে মামুরশাহী দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই মাদ্রাসার দপ্তরী আবু সাইদ (৩০) কে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের মামুরশাহী দাখিল মাদ্রাসার দপ্তরী মামুশাহী এলাকার লোকামানের ছেলে আবু সাঈদ গত বুধবার সকাল ১০ টায় মাদ্রাসায় আসে এ সময় একই মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী এসে কমনরুমে যায়। রুমে ছাত্রিটিকে একা পেয়ে দপ্তরী আবু সাঈদ তার নিকটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করে। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার দিলে অফিস কক্ষ থেকে শিক্ষিকা জান্নাতুল মাওয়া (মায়া) রুমে এসে ছাত্রীকে বিষয়টি কাউকে না জানাতে বলেন।
শিক্ষিকা জান্নাতুল মাওয়া (মায়া) মাদ্রসার সুপার আমিনুল ইসলামকে বিষয়টি জানালে দায়িত্বশীলরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সারাদিন ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে বিকালে তাকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে মাদ্রসার সুপার আমিনুল লম্পট সাঈদকে চড়-থাপ্পড় মেরে নাকে খৎ দিয়ে ছেড়ে দেয়।
পরে ছাত্রী বিষয়টি তার বাবা মাকে জানালে তারাও এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করে লম্পট আবু সাঈদকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার সুপার আমিনুলকে মোবাইল করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসার সভাপতি শাহাদত জানান, অপরাধ করলে কেউ পার পাবে না শাস্তি হবে। কিন্তু ছাত্রীকে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে কাউকে না জানানোর বিষয়টি তার জানা নাই। ছাত্রীর বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, লম্পট আবু সাঈদকে এমন শাস্তি দেওয়া হোক যে শাস্তি দেখে আর কেউ এমন জঘন্য কাজ করার সাহস না পায়। নইলে আজ আমার মেয়েকে শ্লীলতাহানি করেছে কাল অন্য কোন মেয়েকেও শ্লীলতাহানি করতে পারে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইত্ব পুর্বেও ঐ মাদ্রসার এক শিক্ষক এলাকার একটি মেয়েকে শ্লীলতাহানির এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল যা পরে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক)হুমায়ুন কবীর জানান, অভিযোগ পেয়ে লম্পট সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।