জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা মশিউর রহমান শামিম খলিফার নেতৃত্বে অর্ধশত সশস্ত্র সন্ত্রাসীর হামলায় আব্বাস হাওলাদার(৬০) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে নারীসহ সাতজন। তাদের চিকিৎসার জন্য আমতলী ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামে শুক্রবার ভোর রাত চারটার পর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন লাইজু বেগম, সিমন ও বেল্লাল গাজী।
এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, সলিমপুর গ্রামের রশিদ খলিফা ও মোসলেম খলিফার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সাড়ে পাঁচ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত চারটার পর শামিম খলিফা, শামসুল হক,নাসির,জালালে নেতৃত্বে অর্ধশত সশস্ত্র সন্ত্রাসী ঘুমন্ত অবস্থায় তিনটি পরিবারের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা ঘরের সোলার প্যানেল ভেঙ্গে চারদিক থেকে ঘুমন্ত মানুষের চোখে- মুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে বেধড়ক কুপিয়ে জখম করে। ভাংচুর করে তিনটি কাঁচা ঘর। ঘরের ভাতের পাতিল থেকে শুরু করে পানির গ্লাসটি পর্যন্ত কুপিয়ে ও পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। কেটে ফেলে বাড়ির সীমানার প্রায় ৪০টি গাছ। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী তান্ডব ও লুটপাট শেষে সন্ত্রাসীরা চলে গেলে এলাকার লোকজন আহতদের উদ্ধার করে।
আহতদের পটুয়াখালী হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যে আমতলী এলাকায় পৌছলে আব্বাস হাওলাদার অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক তাকেসহ সকল আহতদের আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করলে আব্বাস হাওলাদার মারা যায়।
আমতলী হাসপাতালে মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো.ইমদাদুল হক চেীধুরী বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আব্বাস মারা গেছে। তার শরীরে চলসহ ধারালো অস্ত্রে একাধিক আঘাতের জখম রয়েছে। আহতদের মধ্যে হাসিনা ভানু, মো. শামিম ও রফিক খলিফার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহত রশিদ খলিফা, সাহভানু, ইয়াসমিন ও সেলিনা আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম হামলায় আব্বাস হাওলাদারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারা খবর পেয়েই ঘটনা স্থল পরিদর্শণ করেছেন এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।