ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সামতি রানী (৩০) গৃহবধু নিখোঁজের তিন দিন পর সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উদয়পুর গ্রামের জগেশ মাষ্টারের পুকুর থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাতে বালিয়াডাঙ্গী থানার উপপরিদর্শক ইসাহাক আলী জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভোরবেলা স্ত্রী সঙ্গে অভিমান করে ওই গৃহবধুর স্বামী বিলাশ পাল ইঁদুর মারার বিষ (গ্যাস ট্যাবলেট) খেয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরো বলেন, স্বামীর মরদেহ সৎকার করার পর ২৮ সেপ্টেম্বর ভোররাতে নিখোঁজ হয় গৃহবধু সামতি রাণী। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় তাল লাশ স্থানীয় জগেশ মাষ্টারের পুকুরে ভাসতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে আমজানখোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আকালু (ডোঙ্গা) জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর শোক সইতে না পেরে পানিতে ডুবে আত্মহত্যা করেছে ওই গৃহবধু। দুইদিন ধরে বৃষ্টির কারণে মরদেহ দেখা যায়নি। বিকালে আকাশ পরিষ্কার হলে গৃহবধুর মরদেহ স্থানীয়দের চোখে পড়ে।
এদিকে নিহত গৃহবধুর বাবা ভেলটু পাল ও তার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, মেয়েকে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দিয়েছে গৃহবধুর শ্বশুরবাড়ীর লোকজন।
এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোসাব্বেরুল হক জানান, গৃহবধুর স্বামীর আত্মহত্যার বিষয়টি গোপন করেছে ওই পরিবারের লোকজন। চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় মরদেহের সৎকার করার পর আমরা খবর পেয়েছি। তবে, স্বামীর মৃতুর পর নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জানিয়েছিল নিহত ওই গৃহবধুর বাবার বাড়ির লোকজন। গৃহবধুর মরদেহটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।