ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের বছরের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সারা দেশের মতো গফরগাঁও পৌর শহরসহ উপজেলার দুইটি থানার ১৫টি ইউনিয়নের শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীসহ সব বয়সী মানুষই বছরের শুরু থেকেই এই উৎসবের অপেক্ষায় থাকে। আর এই দূর্গাপূজাকে ঘিরে সর্বত্র বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। মেস মূহুতেই চলছে প্রতিমা সাজসজ্জা, মন্দির ও বাড়িঘরেও চলছে সাজসজ্জার প্রস্তুতি। মন্ডপে মন্ডপে প্রত্যেক শিল্পীই তার গড়া মন্ডপ নান্দনিক করতে স্ব-স্ব নিপূর্ণতার সঙ্গে কাজ করছে। ইতোমধ্যে মন্ডপগুলোর প্রতিমা রং চুন করা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার থেকে মূল পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে।
পৌরশহরের সাহাবাড়ি পুকুরপাড় সংলগ্ন মঙ্গল চন্ডী যুব সংঘ সার্বজনীন শারদীয় দূর্গাপূজা মন্ডপে মাটির কাজ শেষ করে রঙের প্রথম প্রলেপ দিচ্ছেন টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা ভাস্কর রঞ্জিত পাল।
গফরগাঁও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিলীপ কুমার রায় জানান, এ বছর উপজেলার পৌরশহরসহ গফরগাঁও থানায় ১৩টি মন্ডপ এবং পাগলা থানায় ৮টি মন্ডপসহ মোট ২১টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে সব মন্ডপে প্রতিমা তৈরিসহ যাবতীয় কাজ শেষ পর্যায়ে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনিল রায় জানান, উপজেলা ও দুইটি থানা প্রশাসন এর সাথে মতবিনিময়কালে আইন শৃংখলাসহ সার্বিক সহযোগিতায় আশ্বাস দিয়েছেন।
গফরগাঁও থানার ওসি অনুকূল সরকার এবং পাগলা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূজ্জামান খান জানান, পুজা মন্ডপগুলোতে নিরাপত্তা জন্য প্রতি মন্ডপে পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি বিশেষ টহল টিম নজরদারি করবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবুল মনসুর জানান, দুর্গোৎসবকে উৎসবমূখর ও সার্বজনীন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।