হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো শারদীয়া দূর্গাপূজা। আর সেই উৎসবে ভক্তদের পদচারনায় জমে উঠতে শুরু করছে। তবে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ব্যতিক্রম আয়োজন করেছে সদর উপজেলার ধোপাডাঙ্গা গ্রামের সিআইপি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ। তার বাড়িতে সর্ব বৃহৎ পরিসরে এক মন্ডপে ২৫২টি প্রতিমা দিয়ে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তা দেখতে প্রতিদিনই সকাল থেকে মধ্যরাত পযন্ত ভির করছে দূর-দুরান্তের আশা ভক্তরা।
ফরিদপুর জেলার প্রতিটি মন্দির ও তার আশা-পাশ সাজানো হয়েছে বিভিন্ন রঙ্গের লাইটিং করে। সন্ধ্যার পরে দেখতে যেনো জোঁনাকির মেলা বসেছে। জেলার ধোপাডাঙ্গা এলাকার একটি বাড়িতে বৃহৎ পরিসরে ২৫২ খন্ডের প্রতিমা নিয়ে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা দেখে অনেকের মন কেড়েছে ভক্তদের। পৌরাণিক কাহিনি মহা ভারত ও রামায়ণের গল্পকথা যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে ফরিদপুরের ধোপাডাঙ্গা ওই মন্দিটি। ব্যতিক্রমী এই পূজার আয়োজন দেখতে পূজার আগে থেকেই এখন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। এবারের দূর্গা উৎসবে ৭৫০টি মন্ডবে চলছে পুজা।
এছাড়াও ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা শরৎ সাহার বাড়ী, পুরাতন বাসষ্টান্ডের দুটি পূজা, কাসার পট্্ির, স্বর্ণকার পট্রি, শিবরামপুরের তপন ডাক্তারের বাড়ীর পূজা সাজছে নানা আয়োজন নিয়ে। অনেক মন্দিরের পূজা কমিটির আয়োজনে শিশু কিশোরদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ড. যশোদা জীবন দেবনাথ বলেন. ‘মানুষদের আনন্দ দিতে এ আয়োজন। মা দূর্গার কাছে প্রার্থনা করি আমরা সবাই যেন সুখে থাকি, এই প্রত্যাশা।
ভক্তরা জানালো, পূজায় শান্তিপূর্ন ভাবে সকলেই মিলে উৎসব পালন করতে পারছি।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ গুলো তাদের এ উৎসব শান্তিপূর্ন ভাবে করতে যা যা দরকার জেলা পুলিশ সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে’।