সন্ধ্যারাতে শহরের সিটি কলেজ পাড়া ২নং গলিতে ছিনতাইকালে স্থানীয় লোকজন দুই ছিনতাইকারীকে ২টি মোবাইল ও ছিনতাইকৃত নগদ ৩শ’ টাকাসহ ধরে গণধোলাই দিয়েছে। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে,শহরতলী নীলগঞ্জ সাহাপাড়া নদীর কূল পাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে রকি হোসেন,বারান্দীপাড়া মোল্লাপাড়া আমতলা নদীর কূলের আজিজুল আজিম ওরফে বাবুর ছেলে আছিফুল আজিম বাদল। এ সময় বারান্দী মোল্লাপাড়া আমতলার হারুন অর রশীদ ফুলুর ছেলে রুমি পালিয়ে যায়।
যশোর সদর উপজেলার জলকর গ্রামের মৃত গণি মোল্লার ছেলে বর্তমানে শহরের বকচর হুশতলা ইনামুল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া কামাল আহম্মেদ শুক্রবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় গ্রেফতারকৃত আসামীসহ তাদের পলাতক আসামি রুমির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন, তার ছেলে শাহেদ আহম্মেদ দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহাসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। শুক্রবার বিকেলে শাহেদ আহম্মেদ ও বিরামপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে অঙ্কন সিটি কলেজ সার্বজননীজন মন্দিরের লাইটিংয়ের কাজের জন্য যান। তারা কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফিরছিল। রাত সাড়ে ৯ টায় সিটি কলেজ পাড়া ২ নং গলি এলাকায় রাত সাড়ে ৯ টায় পৌছালে আসামি রকি হোসেন, আছিফুল আজিম বাদল ও রুমি তাদের অস্ত্রের মুখে গতিরোধ করে। পরে তাদেরকে অবৈধভাবে কিছূদূরে আটক রেখে তাদের কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ফোন ও অংকের কাছ থেকে নগত ১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীরা তাদেরকে মারপিট করা কালে চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় ছিনতাইয়ের অভিযোগে জনগণ রকি হোসেন ও আছিফুল আজিম বাদলকে ধরে ফেলে। রুমি দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদেরকে স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশং কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে কোতয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করা হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত রকি হোসেন ও বাদলকে শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। রুমি পলাতক রয়েছে।