যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামের খায়রুল ইসলামের প্রবাসী ছেলে সোবহান হত্যার দেড় বছর পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থান থেকে সোবহানের লাশ উত্তোলন করা হয়।
নিহত সোবহানের পিতা খায়রুল ইসলাম জানান, তার ছেলে সোবহান ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়া যায়। সেখানে চায়না কোম্পানি ক্যারেল স্টিল কোম্পানিতে চাকুরি করতে থাকে। এ সময় মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারী একই গ্রাসের জামির হোসেন ও ইমনের সাথে তার যোগাযোগ হয়। এরপর সে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ১৪ মার্চ আত্মহত্যা করে বলে জামির ও ইমন প্রচার করে। ১৭ মার্চ তার লাশ বাড়িতে আসলে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
পরিবর্তিতে খায়রুল ইসলামের মোবাইলে সোবহানকে মারপিট ও নির্যাতনের ভিডিও ও ছবি আসলে তার সন্ধেহ হয়। একপর্যায়ে তিনি নিশ্চিত হন যে, সোবহানকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জামির, ইমনসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে যশোর আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন খায়রুল ইসলাম। আদালত অভিযোগটি ঝিকরগাছা থানার ওসিকে মামলা হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দিলে ঝিকরগাছা থানায় মামলা হয়। যার নম্বর ১৫। তারিখ ১৫.০৭.২০১৯।
এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা, ঝিকরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) আবু হেনা মিলন অধিকতর তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের কথা জানিয়ে আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। এরপর এদিন তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ঝিকরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) আবু হেনা মিলন জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা শারমিন বিথির উপস্থিতিতে খায়রুল ইসলামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে সোবহানের লাশ উত্তোলন করা হয় ও যশোর হাসপাতাল মর্গে ফরেনসিক ময়না তদন্ত করা হয়।