গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বখাটেদের উৎপাতে সইতে না পেরে ছাত্রী আত্মহত্যায় দায়েরকৃত মামলার আসামিরা এখনও অধরায় রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের ইয়াসিন আলীর মেয়ে চাচিয়া মীরগঞ্জ চরকের হাট উচ্চবিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে একই ইউনিয়নের নওহাটী চাচিয়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে আলামিন কিছু সংখ্যক বখাটের সহযোগীকে সাথে নিয়ে প্রতিদিন আপত্তিকর কথাবার্তা বলে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে ইয়াসিন আলী আলামিনের পিতা-মাতাকে বিষয়টি জানালে আলামিন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ অবস্থা চলতে থাকায় গত ১০ই সেপ্টেম্বর বিকেলে ইয়াসমিন আক্তার তার মামাতো ভাই-বোনসহ বাড়ির পাশে রাস্তায় ব্রীজে হাওয়া খেতে গেলে আলামিন তার ৫-৬জন সহযোগী কিশোরকে নিয়ে ইয়াসমিনকে উদ্দেশ্য করে পূর্বের ন্যায় আপত্তিকর কথাবার্তা বলতে থাকে। এর এক পর্যায় প্রতিবাদ করতে গেলে আলামিন ও তার সহযোগীরা ইয়াসমিন ও তার ভাই-বোনদের এলোপাতারি মারপিট করে ইয়াসমিনের শ্লীলতা হানি করে। তার চিৎকারে পিতা-মাতা ও আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে লাঞ্চিত অবস্থায় ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে। এ লাঞ্চনা সহ্য করতে না পেরে সবার অজান্তে ওই রাতেই বাড়ির সামনে আম গাছের ডালে ওড়না পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে ইয়াসমিনের পিতা ইয়াছিন আলী আলামিনসহ ৬জন কে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের ১মাস অতিবাহিত হলেও আসামিরা অধরায় রয়েছে। এ নিয়ে থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ এসএম আবদুল সোবাহানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ মামলার আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে আসামীদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।