নিজ কাজ আত্মসন্মানের পরিপন্থি নয় বরং সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভের প্রধান উপায়। আবদুস সালাম তারই দৃষ্টান্ত।
তিনি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ কিন্তু সব্জি বিক্রি করেন কালীগঞ্জ শহরে। ১৯৮২সালে নলডাঙ্গা ভূষন স্কুল থেকে এস এসসি ও ১৯৮৪ সালে মাহতাব উদ্দীন কলেজ হতে এইচ এস সি পাস করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে ঢাকা বাংলা কলেজ থেকে বি এ পাস করেন।১৯৮৯ সালে ডিপ্লোমা পাস করেন বেসরকারী পলিটেকনিক্যাল কলেজ হতে।তারপর অর্থ উপার্জনের জন্য পাড়ি জমান সিঙ্গাপুরে।পরবর্তীতে থাইল্যান্ড এবং জাপানে বিল্ডিং নির্মানের কাজ করতেন দীর্ঘ বছর।
জীবনের সোনালী স্বপ্নের ২৩টি বছর কাটান প্রবাসে। দেশে ফিরে বর্তমানে ভ্যানের উপর সব্জির পসরা সাজিয়ে ফেরি করে শাকসব্জি বিক্রি করেন আবদুস সালাম।এ কাজকে ছোট মনে করেন না কিংবা লজ্জা পাননা।বরং কাজ কে তিনি প্রতিষ্ঠা লাভের উপায় মনে করেন।তার বাড়ী কালীগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে।বাবার নাম আবদুল হক। গ্রামের বাড়ীতে তার অনেক সম্পদ।তিন বিঘা জমিতে বানিজ্যিক ভিত্তিতে লিচু বাগান করেছেন। ১৫ বিঘা জমিতে অন্যান্য ফসল চাষ রয়েছে তার।তারপরও তিনি ফেরি করে সব্জি বিক্রি করেন।
তিনি জানান কাজকে কখনোই ছোট মনে করতে হয়না।আমি বিদেশ গিয়েও কাজ করতাম-দেশে লজ্জা কিসের। ব্যাক্তি পরিবার-সমাজ এবং রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য সকলকেই যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করা উচিৎ। কোন কাজই ছোট নয়। আমি বিদেশ গিয়ে অনেক কষ্ট করেছি। অর্থ উপার্জর করেছি। কিন্তু এখন বসে থাকতে পারি না। কাজ কে কোন ভাবেই ছোট ভাবে মনে করি না। প্রতিদিন বিকালে নিজ জমির সবজি তুলে রাখি এবং প্রতিদিন সকাল বেলায় নিজের ভ্যান গাড়িতে করে বিভিন্ন গ্রাম ও শহরে বিক্রি করে থাকেন। তিনি আর ও বলেন তার নিজের জমিতে সবজি রোপন করেন কিন্তু কোন প্রকার কীটনাশক বা রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন না। জৈব সার ব্যবহার করে সবজি আবাদ করে থাকেন। অবশ্য তিনি যে সব সবজি বিক্রি করেন তা নির্ধারিত বাসা বাড়িতে বিক্রি করেন।