গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একাধিক গরু চোরের গ্যাং এর সন্ধ্যান। গ্রাম-গঞ্জে গরু চুরির বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা।
গত দুইদিনে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন ৭টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে।
জানা গেছে,উপজেলার সম্প্রীতি হরিরামপুর ,সমসপাড়া,চন্ডিপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে প্রায় ১৫টি গরু চুরির খবর পাওয়া গেছে। এদিকে গ্রাম-গঞ্জে গরু চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় গোবিন্দগঞ্জ পুলিশ গরু চোরদের ধরতে গোবিন্দগঞ্জের কোচাশহর ইউপির বুনাতলা,সিংগা সহ বেশ কয়েটি গ্রামে গরু চোরের গ্যাং এর সন্ধ্যান পেয়ে সেখানে গত ৫ ও ৮ অক্টোবর ইং তারিখে থানার কর্মকর্তা ইনর্চাজ মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে এস আই জাকিরুল ইসলাম ও এএসআই ইসমাইল হোসেন সহ একদল পুলিশ ঐ এলাকায় গরু চোরের গ্যাং এ অভিযান চালায় এবং বিভিন্ন স্থান থেকে মালিক বিহীন ৭টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছেন বলে থানা সূত্রে জানা যায়।
এদিকে এলাবাসি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানিয়েছেন,ধারাইকান্দি গ্রামের তাজু মিয়ার পুত্র দেলোয়ার হোসেন (কসাই), একই গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র আঃরাজ্জাক,ছয়ঘড়িয়া গ্রামের হামিদুল ইসলাম ও সিংগা গ্রামের ময়নুল ইসলাম সহ আরো কয়েকজনের নাম উঠেছে এরা গরু চোরের গ্যাং লিডার।আর এই গ্যাং লিডাদের নিয়ন্ত্রনে গোটা উপজেলায় আরো প্রায় শতাধিক গরুচোর রয়েছে।বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করে গ্যাং লিডারদের নিকট চোরাই গরু গুলি পৌঁছায় আর সেখান থেকেই তাদেরই নিয়োজিত লোকজনের নিকট বিক্রি সহ বিভিন্ন হাটে বিক্রি করে থাকে। এমনকি ভাল ভাল গরুগুলি কসাইদের দ্বারা জবাই করা হয়।
এ ব্যাপারে ওসি মেহেদী হাসান জানিয়েছেন,গত কয়েক দিনে কোচাশহর ইউপি’তে বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন ছোট-বড় ৭টি চোরাই গরু উদ্ধার করে থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে। এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে এমনকি গরুচোর সহ গ্যাং লিডারদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যই বালুয়ার চন্ডিপুর গ্রামের রাবেয়া বেগমের চুরি হওয়া ১টি গরু তিনি সনাক্ত করায় তাকে গরুটি দেওয়া হয়েছে।