অষ্ঠম শ্রেনীর ছাত্রী নিশি। পড়াশুনায় বেশ মনযোগী ছিলো। হাসি-ঠাট্টা আর খেলা-ধুলায় মেতে থাকত সহপাঠিদের সাথে। ৪ বোনের মধ্যে নিশিই ছোট। পড়াশুনাতে বরাবরই ভালো করত সে। কিন্তু কে জানে মারাতœক রোগ বাসা বেধেঁছে তার শরীরে? পড়াশুনা কিংবা হাসি খেলা, কোনটা নিয়েই আর ব্যস্ততা নেই নিশি আক্তারের। এখন কিভাবে বেঁচে থাকবে, সেটা নিয়েই চিন্তা তার সাড়াক্ষণ। তার দুটি কিডনীই অচলের পথে। পানি জমেছে মুখমন্ডল সহ সাড়া শরীরে। এমনই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরট্ট পদুমশহর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার গ্রাম্য আনসার সদস্যের মেয়ে নিশি আক্তার বেঁচে থাকার জন্য ছটপট করছে। দির্ঘ চিকিৎসার ব্যয় বহনের সাধ্যও নেই তার অসহায় পিতার।
নিশির বাবা খলিলুর রহমান জানান, দেড়মাস আগে সে জ¦রে আক্রান্ত হয়। একদিন দুদিন করে ৭ দিনেও জ¦র কোন মতেই না সাড়ায় স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে গত ২৬ জুলাই বগুড়ার একটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার কিডনীর সমস্যা ধরা পরে। কিছুদিন চিকিৎসার পর তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কিডনি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা: আ ন ম এহসানুল করিমের অধিনে ভর্তি করা হয়। এখন তার সাড়া শরীরে পানি ধরে ফুলে গেছে। ৭ হাজার টাকা দামের একটি করে ইনজেকশন সহ মোট ১০ হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে প্রতি পাঁচ দিন পর পর। এ খরচ যোগাতে অভাবের সংসারের একমাত্র সম্বল দুটি গরুও বিক্রি করেছেন বলে জানালেন, নিশির মা আঙ্গুর বেগম। এখন সম্বল একটি টিনের ঘর। এ ব্যাপারে কথা হলে পদুমশহর ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান স্বপন জানান, মেয়েটির জন্য কিছু করা যায় কিনা, দেখবো। সরেজমিন নিশির অবস্থা জানতে ওই গ্রামে গেলে দেখা যায় নীরব একাকী বসে আছে সে। কাঁদতে কাঁদতে কাছে এসে তার মা আঙ্গুর বেগম বলেন, টাকার অভাবে মেয়েটাকে মেডিকেল থেকে বাড়িতে এনেছি। চিকিৎসা করার মত তাদের সংসারে আর কিছু সেই। টাকার অভাবে মেয়েটির চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানালেন, ওই গ্রামের স্কুল শিক্ষক আনারুল ইসলাম। আঙ্গুর বেগমের এখন আকুতি একটাই-নিশির পাশে দাঁড়ানো যায় না বাবা। মেয়ের চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন নিশির বাবা-মা। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা-আঙ্গুর বেগম, চলতি হিসাব নং-০১০২৩৮২৪, সোনালী ব্যাংক, বোনারপাড়া শাখা।