ভোলার মনপুরার মেঘনায় অবৈধভাবে মা ইলিশ শিকারের সময় ৯ জেলেকে আটক করেছে অভিযান পরিচালনাকারী ভ্রাম্যমান আদালতের একটি টিম। শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, মৎস্য বিভাগ, কোষ্টগার্ডের নের্তৃত্বে মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ৯ জেলে, ১টি মাছ ধরা ট্রলার, ৪০ হাজার মিটার জাল ও ৬ মন ইলিশ মাছ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদ এর উপস্থিতিতে ৮টি মাদ্রাসা ও এতিম খানায় জব্দকৃত সকল ইলিশ মাছ বিনামূল্যে বিতরন করেছেন। জব্দকৃত ১টি ট্রলার ও ইলিশ জালগুলো কোষ্টগার্ডের জিম্মায় রয়েছে বলে জানান ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ইলিশের প্রজনন মৌসুম চিহ্নিত করে ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোতে মাছ শিকার, মাছ আহরন, বাজারজাতকরন, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে।
অথচ সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাঙ্গা অমান্যকরে মেঘনায় মাছ শিকারের সময় আটক হয়েছেন মো: সাহাবউদ্দিন(২৬), বশিরউল্লাহ(৩০), হাবিবউল্যাহ(২৪), মো: সেলিম(৩০), মো: হাসনাঈন(২০), মো: রিপন (২০), মো: আজাদ(২৮), মো: সুমন (১৪) ও মো: রাশেদ (২৬)। আটক সকল জেলের বাড়ী হাজীরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে।
পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বশির আহমেদ মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষন আইন ১৯৫০ এর আলোকে ১৯৮৫ বিধিমালায় ১৩এর ৫(১) আইনের ৪ ধারা মোতাবেক মো: সাহাবউদ্দিন, বশিরউল্লাহ, হাবিবউল্যাহ, মো: সেলিম, মো: হাসনাঈন, মো: রিপন, মো: আজাদ এদের প্রত্যেককে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদ- ও মো: রাশেদকে ৩ হাজার টাকা জরিমান এবং বয়স কম হওয়ার কারণে মো: সুমনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করার সময় উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদ, মৎস্য কর্মকর্তা মো: তারিকুল ইসলাম, কোষ্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোঃ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মেঘনায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।