লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার রামগঞ্জ রাব্বানীয় কামিল মাদ্রাসা ও সাউধেরখিল উচ্চ বিদ্যালয়সহ ২টি ্আশ্রয়ন প্রকল্প ভবনের সংস্কার কাজের আত্মসাৎ করায় ১৯ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৩০ টাকা ফেরত দিচ্ছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। রামগঞ্জ রাব্বানীয়া কামিল মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি আকবর আলী বাদি হয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ও ত্রান মন্ত্রালয় এবং দুদকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পিআইও প্রতিষ্ঠান দুইটির প্রধানদের কাছে ধারস্থ হয়ে কাজ করার জন্য আংশিক টাকা প্রদান করে। ওই টাকা পেয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক ডেকে জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার কাজ শুরু করে।
সুত্রে জানায়,দুযোর্গ ব্যবস্থাপনায় ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রামগঞ্জ রাব্বানীয়া কামিল মাদ্রাসা আশ্রয় কেন্দ্র সংস্কারে ৯ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬শত ৬ টাকা এং সাউদেরখিল উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র সংস্কারে ৯ লক্ষ,৮০ হাজার,২শত ২৪ টাকা বরাদ্ধ দেয়। কিন্তু রামগঞ্জ উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে লক্ষ্মীপুর সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে ২০১৯ সালের ১৫ মে কাজ সর্ম্পুন দেখিয়ে জুন ক্লোজিং এর পুর্বে ভূয়া দরপত্র ও বিল তৈরি করে বরাদ্ধের পুরো টাকা ট্রেজারী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। এ ব্যাপারে আকবর আলী নামের এক ঠিকাদার দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা এং দুদকের মহাপরিচালক সহ কয়েকটি সংস্থায় বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়ায় হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাব্বানীয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এ.এস.এম মোস্তাক আহমেদ বলেন,সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে পিআইও অফিসে যোগাযোগ করলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রথমে স্বীকার না হলেও পরে স্বীকার হয়ে সংস্কার কাজ করতে আমাদেরকে দুই কিস্তিতে কিছু টাকা দেয়। টাকা পেয়ে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী বৈঠক ডেকে সংস্কার কাজ শুরু করি। বাকি টাকা পিআইও আস্তে আস্তে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন,দুর্যোগ মন্ত্রনালয়,দুদক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দায়ের করার সংবাদ জানতে পেরে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের মাধ্যমে কাজ শেষ করতে করতে নগদ টাকা প্রদান করেছি। কাজ শেষ করলে বাকী টাকা পরিশোধ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, জুন ক্লোজিংয়ের কারণে টাকা উত্তোলন করে অন্য একাউন্টে রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে কাজ শেষ করে টাকা প্রদান করা হবে। সরকারী টাকা আত্বসাত করার কোন সুযোগ নাই।