সরকার যখন উন্নয়নের স্বপ্নে বিভোর, উন্নয়ন যখন বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতিচ্ছবি হয়ে সাধারণ মানুষের মনের মনি কোটায় নাড়া দিচ্ছে, সেই মূহুর্তেই গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে উন্নয়নের নামে লুটপাটের হিরিক পড়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও খোদ তৃণমূল নেতারা। নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক উপজেলার কাটাবাড়ি ইনিয়নের আওয়ামী লীগের একজন প্রবীন রাজনীতিবিদ এর সাথে চায়ের দোকনে একান্ত আলাপ চারিতায় তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছরে এই প্রথম দেখলাম গোবিন্দগঞ্জে সরকারী পুকুর নিয়ে টেন্ডারের নামে তালবাহানা, চাল নিয়ে দফায় দফায় চালবাজি, কৃষকের ধান ক্রয়ে লটারির নামে প্রহসন, গরীব দুস্থ মানুষ গুলোর সন্তানদের জন্য যতœ প্রকল্পের নামে বৃত্তবানদের কাছে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকার হুলি খেলা,এবং (ফেয়ার প্রাইজ কর্মসূচি) ডিলারদের বাদ দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র। অবশ্য প্রতিটি বিষয় নিয়ে প্রভাবশালিদের দাপটের কারণে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা প্রতিবাদ করেও কোন ফল পায়নি।
এদিকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় এখানকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী মহল। যেন প্রতিনিয়ত ঘটছে খুন, মারপিট, ঘরবাড়ী ভাংচুর, লুটপাট, ব্যাপক গরু চুরি, ছিনতাই ও স্কুল পড়-য়া ছাত্রদের উৎত্যাক্ত। গত দুই মাসে তুচ্ছ ঘটনায় শিশু সহ খুন হয়েছে ৮ জন।
চলমান রাজনীতি বিষয়ে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুর রহমান মাষ্টারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ”বলিষ্ট নেতৃত্বের অভাবে উন্নয়ন কাজে‘হযবরল’ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। খোদ তৃণমূল থেকে তীলে তীলে গড়ে ওঠা জীবন্ত কিংবদন্তী নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের মত নেতাই গোবিন্দগঞ্জের জন্য উপযুক্ত। কারণ তিনি একজন দক্ষ সংগঠক,বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধিকারী এবং তার সময়ে সাধারণ জনগণ স্বস্তিতেই ছিলেন। সেই সময় ছিলোনা কোন পুকুর চুরি, ছিলোনা কোন চাল নিয়ে চালবাজি, কৃষকের ধান ক্রয়ে লটারীর নামে প্রহশন, অনিয়ম-দূর্নীতি এবং (ফেয়ার প্রাইজ কর্মসূচি) ডিলারদের বাদ দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র”। এদিকে জন্মসূত্রে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান ৪০ বছর ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রধান জাকারিয়া ইসলাম জুয়েল বলেন, এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, আর আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতো না, যদি তৃণ্যমুল থেকে উঠে আসা রাজনীতিবিদ বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের মত দক্ষ নেতৃত্ব কার্যকরী থাকত। তার বলিষ্ট নেতৃত্বে আমরা সব সময় সভা সেমিনার,উঠান বৈঠক ও জন সচেতনতা বিষয়ে সভা সমাবেশ করে সাধারণ জনগণকে উদ্বুর্দ্ধ করতাম। যার কারণে ঐ সময় এত সব পুকুর চুরি, চাল নিয়ে চালবাজি,কৃষকের ধান ক্রয়ে লটারির নামে প্রহশন, অনিয়ম-দূর্নীতি ও খুন জখম চুরি ছিন্তাই হত না। নেতৃত্বের এই অবস্থা বিরাজ করলে ও দলীয় রাজনীতিতে বিভাজনের কারণে গোবিন্দগঞ্জে উন্নয়নের চরম ব্যাঘাত ঘটবে বলে সচেতন মহলের অভিমত।