ফরিদপুরে নিজ বাড়িতে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফরিদপুর সদর উপজেলার সম্প্রসারিত ফরিদপুর পৌরসভার পশ্চিম গঙ্গাবর্দী গ্রামে বেড়ি বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ নিহত ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম ঝর্ণা মন্ডল (৪২)। তিনি ওই গ্রামের দুলাল মন্ডলের (৪৮) স্ত্রী। ঝর্ণা মন্ডল এক ছেলে ও এক মেয়ের মা।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, দুলাল মন্ডল রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। তার ছেলে কৃষ্ণ মন্ডল (১৯) পড়াশুনার পাশাপাশি বাবার সাথে রাজ মিস্ত্রির কাজ করতো। ঝর্ণার মেয়ে বণ্যা (১৭) পূজার আগে মামাবাড়িতে বেড়াতে যায়। যদও মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে বাড়িতে ফিরে আসে বণ্যা।
মঙ্গলবার সকালের খাবার খেয়ে দুলাল ও তার ছেলে কৃষ্ণ কাজ করতে যান। ওই সময় বাড়িতে ঝর্ণা একাই ছিলেন।
এলাকাবাসী দুপুর আড়াইটার দিকে এ হত্যাকান্ডের কথা জানতে পারেন পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, স্বামী ও ছেলে যাওয়ার পর দিবাভাগের কোন এক সময়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে ওই গৃহবধূর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, বসতবাড়ির যে ঘরে এ হত্যাকান্ড ঘটে সেটির দড়জা খোলাই ছিল।
ওই এলাকার বাসিন্দা কাদের মোল্লা জানান, দুলাল ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরিহ প্রকৃতির। ২০ বছর আগে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে এই পরিবারের সদস্যরা পশ্চিম গঙ্গাবর্দী এলাকার ওই জায়গায় জমি কিনে বসবাস করে আসছেন। তাদের কোন শত্রু আছে বলে কখই শোনা যায় নি।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ব্যাক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, এটি একটি ‘ক্লিন’ হত্যাকান্ড। হত্যাকারীরা হত্যা করতেই এসেছিল। হত্যাকারিরা কোন সহায় সম্পত্তির উপর হাত দেয়নি।
তিনি বলেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার একটি হত্যা মামলাদায়েরের প্রস্তুতি চলছে।