যশোরের বালিয়া ভেকুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে মারপিটের মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলামসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। যশোর কোতয়ালি মডেল থানার এসআই ও তদন্তকারী কর্মকর্তা হায়াৎ মাহমুদ চেয়ারম্যান শাহারুলকে পলাতক দেখিয়ে চার্জশিট দাখিল করেছেন। চার্জশিটে অন্যান্য অভিযুক্তরা হলো, বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত শফি উল্লাহর ছেলে বিল্লাল হোসেন, আমানতের ছেলে রুবেল, আহম্মেদ আলীর ছেলে আক্তার, রঘুরামপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে লালু, আবদুর রহমানের ছেলে রিপন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম গত ২ জুলাই দুপুর ২টার দিকে সংবাদ পান, সহকারি শিক্ষক ইউসুফ আলীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বালিয়া ভেকুটিয়ার লোকজন মারপিট করছে। এ সংবাদে তিনি ঘটনাস্থলের উদ্যেশ্যে রওনা হয়। এ সময় তসলিম মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছুলে চেয়ারম্যান শাহারুলের হুকুমে অপর আসামি বিল্লাল তাকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর অন্যান্য আসামিরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আসামিরা তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নেয়। পরে তাকে ধরে বিদ্যালয়ে নিয়ে একটি সাদা কাগজে রিজাইন লেটারে স্বাক্ষর করে হত্যার হুমকি দেয়। জাহাঙ্গীর আলম হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরদিন এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।