ফরিদপুরে পিতার বিরুদ্ধে একমাত্র শিশু পুত্রকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন ওই শিশুটির মা।
এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের চর চাদঁপুর গ্রামের মকদুম মুন্সীর ডাঙ্গি গ্রামে। মৃত শিশুটির নাম রহমত প্রামাণিক। তার বয়স দুই বছর চার মাস। সে ওই গ্রামের হালিম প্রামণিকের (২২) ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে কোন এক সময়ে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে হালিম প্রামাণিক পলাতক রয়েছেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে সদরপুর উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের চর চাদঁপুর গ্রামের মকদুম মুন্সীর ডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা রিক্সা চালক শুকুর প্রামাণিকের ছেলে হানিফ প্রামাণিকের বিয়ে হয় পাশের নগরকান্দা উজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের পোড়াদাহ গ্রামের বাসিন্দা কৃষক শেখ শামসুর মেয়ে স্বপ্নার সাথে। হানিফ ঢাকায় লেগুনা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে গত তিন মাস ধরে তিনি বেকার অবস্থায় এলাকায় ছিলেন।
শিশুটির মা স্বপ্না আক্তার বলেন, বেশ কিছুু দিন সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে হানিফের মানে সংশয় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এনিয়ে পারিবারিক গোলোযোগ চলছিল। হানিফ রহমতকে তার নিজের সন্তান হিসেবে স্বীকার করছিলেন না।
স্বপ্না আরও বলেন, শুক্রবার তিনি বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি আসেন। আসার পর থেকে স্বামীর সাথে তার গন্ডোগল হয়। তিনি সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে ঘুমতে যান। রাত ৯টার দিকে ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখতে পান রহমত বিছানায় নেই।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, পরে অনেক খোঁজা খুঁজির পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে অনুমানিক ৩০০মিটার দূরে ওই গ্রামের একটি ধানখেতে রহমতকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পরে মনিকোঠা পালিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মো. ফরহাদ হোসেন লাশটি থানায় নিয়ে যান।
ফরহাদ হোসেন জানান, লাশটি উদ্ধার করে গতকাল শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের মা স্বপ্না গতকাল সকালে সদরপুর থানায় তার স্বামী হানিফ প্রামাণিককে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, হানিফ প্রামাণিককে গ্রেপ্তারের জন্য জোর চেষ্টা চলছে।