নীলফামারীর ডিমলায় ধর্ষনের কারণে এক বিধবা নারী আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের পূর্ব ছাতুনামা চরগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গত বুধবার রাতে ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বিধবা ভাতার কার্ড করে দেবার নামে ওই বিধবার বাড়িতে যায়। বাড়ীতে অন্য লোকজন না থাকায় একপর্যায়ে ইউপি সদস্য ওই বিধবাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করলে তার চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে ইউপি সদস্যকে আটক করে। এরপর ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে কিছু প্রভাবশালী লোকজন তাকে বিধবার বাড়ী থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ওই বিধবা ঘটনার পর দিন মামলা করার জন্য থানায় যেতে চাইলে পথে প্রভাবশালী মহল তাকে বাধা দেয়। পাশাপাশি মামলা না করার জন্য বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে। ধর্ষনের বিচার না পেয়ে শনিবার দুপুরে চর গ্রামের নিজ বাড়ীর শয়ন ঘড়ে ওই বিধবা আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রভাবশালী মহলটি পুলিশকে খবর না দেয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। পরে এলাকাবাসী ৯৯৯ করলে ডিমলা থানা পুলিশ শনিবার সন্ধায় ওই বিধবার লাশ উদ্ধার করে ডিমলা থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও পূর্ব ছাতুনামা গ্রামের মৃত আবদুল আমিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম।
জানাগেছে, ওই গ্রামের আবদুল জলিল প্রায় দুই বছর আগে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরন করেন। মারা যাবার পর বিধবা স্ত্রী জাহানারা বেগন(৪৫) পাঁচ সন্তানের জননী সন্তানদের বিয়ে হওয়ার কারণে বাড়ীতে একাই বসবাস করতেন। বাড়ীর কিছুটাদূরে বিধবার দুইবোন নাসিমা ও নাজমা স্বামীর বাড়ীতে বসবাস করেন।
ঘটনার পরে বিধবার দুইবোন ও এলাকাবাসী ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে ঘটনার বিষয় জানালে ডিমলা থানা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলাকার প্রভাবশালীরাসহ অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ও দুইবোনের অভিযোগ বিধবা জাহানারা ধর্ষনের বিচার না পেয়ে এলাকার প্রভাবশালীদের কারণে আত্মহত্যা করেছে।
ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম কতৃক ধর্ষণের বিচার না পেয়ে বিধবা জাহানারা বেগম আত্মহত্যা করেছেন।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই বিধবা নারীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। রোববার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলার মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মামলা করা হবে।