যশোরের কেশবপুরে তিন ভূমিহীন পরিবার সরকারি জায়গার বন্দোবস্ত পেয়ে মাথা গোজার ঠাই পেলো। গত ১৭ অক্টোবর ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সরেজমিনে গিয়ে জমির দখল শর্ত, দলিল, নামজারি খতিয়ান বুঝে দিয়েছেন ওই ভূমিহীনদের। জমি পেয়ে ভুমিহীন পরিবার গুলি স্বস্থির নিশ্বাস ফেরছে। কেশবপুর উপজেলার কোমরপোল গ্রামে বসবাস ওই তিন ছিন্নমূল ভূমিহীন পরিবারের।
ভূমিহীন পরিবার উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কোমরপোল গ্রামের ইছাক আলী, বিধবা রেহেনা বেগম ও আবু সাইদ বলেন, এ পৃথিবীতে মাথা গোজার ঠাই নেই। অন্যের দয়ায় দেয়া জমির ওপর কুঁড়েঘর বেঁধে কোন রকম মাথা গোজার ঠাই করে নিয়েছিলেন তারা। পরের জমিতে কৃষি কাজ, ঝি এর কাজ করে চলে পরিবারগুলোর সংসার। কাজ না করলে ভাত হয় না। কৃষি মজুরের কাজ করে যা পায় তাতে পেটের খাবার যোগাড় হলেও মাথা গোজার ঠাই পাবার জমি কেনার সামর্থ্য হয় না তাদের। উপায়ন্তর না পেয়ে অবশেষে পরিবারগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সরকারি জমি বন্দোবস্তের আবেদন করেন। প্রকৃতপক্ষে, তারা ভূমিহীন হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই তিন ভূমিহীন পরিবারকে সরকারি খাস জমি বন্দেবস্ত দেয়ার জন্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশনা পেয়ে গত ১৭ অক্টোবর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তা কোমরপোল নতুন মূলগ্রাম সড়কের পাশে ওই তিন পরিবারের প্রত্যেককে কোমরপোল মৌজার সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত জমি থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ২ শতক করে মোট ৬ শতক জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, কোমরপোল গ্রামের ধর্ণাঢ্য আকামত আলীগং কোমরপোল নতুন মূলগ্রাম সড়কের পাশের ১১ শতক সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত জমি দীর্ঘদিন ধরে জবর দখলে রেখে ভোগ জাত করে আসছিলেন। ১৭ অক্টোবর সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সার্ভেয়ার দিয়ে সিমানা নির্ধাণ করে সরকারি জমি উদ্ধারসহ লাল পতাকা পুতে প্রত্যেক ভূমিহীন পরিবারকে ২ শতক করে জমি বন্দোবস্ত দিয়ে দলিল, দখল শর্ত বুঝে দেয়া হয়েছে।
রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানূর রহমান বলেন, ওই ভূমিহীনরা তাঁর কাছে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্তের আবেদন করেছিল। তারা প্রকৃতই ভূমিহীন। কোমরপোল মৌজার সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত জমি থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ২ শতক করে মোট ৬ শতক জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ উপজেলায় যে সমস্ত সরকারি খাস জমি রয়েছে তা উদ্ধার করে ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণ করা হবে।