ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে স্কুলছাত্র চাঞ্চল্যকর আরিফুুল ইসলাম খান হত্যা মামলার প্রায় সাড়ে চার মাস পরও হত্যা মামলার প্রধান আসামি জামিনে এসে এবং অন্য আসামীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় আসামিরা এবং তাদের লোকজন মামলার বাদী এবং নিহতের মা ও বোনকে হুমকি দেয়া অব্যাহত রাখায় তাদের পরিবারকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। মামলার বাদী নিহতের ভাই শরীফুল স্কুলে ও নিহতের বোন রাহিমা খাতুন মাদ্রাসায় যেতে পারছে না। রোববার গফরগাঁও প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে আরিফুলের পরিবারের পক্ষ থেকে এ দাবী করা হয়েছে।
নিহত আরিফুলের মা উপজেলার চাকুয়া গ্রামের বিলকিস বেগম (৪৫) সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পূর্ব শক্রতার জের ধরে ও সম্পত্তির লোভে গত ৩০ মে রাত ১০টার দিকে সাধুয়া গ্রামে রেনু বেগমের বাড়িতে আরিফুলকে ডেকে নিয়ে এ হত্যা মামলার আসামি হারুন খাঁ (৫৫), মহিন খাঁ (২০), রেনু খাতুন (৪৫), মুর্শিদ ফরাজী (৪৫), জোবায়েদ ফরাজি(২০), রফিক মোল্লা (৫০), বিদ্যুৎ (২৫), কৌশিক (২০)সহ আরো ৪/৫ জন আরিফুলকে এলাপাথারী পিটিয়ে, শ^াসরোধ করে খুন করে রেনু খাতুনের ঘরের আড়ার মধ্যে ঝুলিয়ে রাখে। আসামিরা আরিফুল আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারনা চালায়। ৩১ মে পাগলা থানায় এ ব্যাপাওে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয় এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়না তদন্ত রির্পোটে কর্তব্যরত চিকিৎসক এটি একটি হত্যা ঘটনার রির্পোট দিলে গত ২ সেপ্টেম্বর শরীফুল ৮ জনকে নামীয় আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত নাময়ি আসামি করে পাগলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী নিহতের ভাই শরীফুল ইসলাম খান জানান, হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকে থেকেই মামলার আসামি ও তাদের লোকজন মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য তাদের পরিবারের উপর চড়াও হয়। মামলা তুলে নিতে আসামিরা ভয়ভীতি দেখানোই তাদেরকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। মামলার প্রধান আসামি হারুন খঁ জামিনে এসে মামলা প্রত্যাহার না করে তারা বাড়িতে গেলে কিংবা স্কুল, মাদ্রসায় গেলে তাকে ও তার মা, বোনকে আরিফুলের মতো খুন করা হবে বলে আসামিরা হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ময়মনসিংহ সিআইডির এস আই রূপক সরকার ্এর সাথে কথা বললে, বাদী পক্ষকে পাগলা থানায় জিডি করার পরামর্শ দেন।
সংবাদ সম্মেনে নিহত আরিফুলের ভাই শরীফুল ইসলাম, মা বিলকিস বেগম ও বোন রাহিমা খাতুন বক্তব্য রাখেন।