গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পরাণ রাবেয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কমিটির বিরুদ্ধে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতের আশ্রয় নেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, ওই প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হতে থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষক অবসর গ্রহণ করেন। এরপর ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কনিষ্ঠ শিক্ষক নেপাল কুমার লস্করকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার অর্পণ করেন।এ অনিয়মের ঘটনায় শিক্ষক কর্মচারীরা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পায়নি। অবৈধভাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোপনে নিজস্বার্থ চরিতার্থ করতে গোপনে পকেট কমিটি গঠনের পায়তারা চালান। এ ব্যাপারেও উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন তদন্ত হয়নি। অভিযোগ দেওয়ার পরেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে পকেট কমিটি গঠন করা হয় বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ম্যানেজিং কমিটি গঠনে কোন প্রকার প্রচার প্রচারনা ও ভোট ছাড়াই অভিভাবক সদস্য নির্বাচন দেখিয়ে পকেট কমিটি গঠন করা হয়। এ অভিযোগ গুলোর তদন্ত না করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে অবৈধভাবে গঠিত পকেট কমিটি অনুমোদনের জন্য সংম্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। অবশেষে অভিযোগ কারীগণ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা বোর্ড দিনাজপুরে অভিযোগ দাখিল করেন। এখানে অভিযোগ দিয়ে সেবা নিতে গত ৩০ অক্টোবর ২০১৮ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা বোর্ড দিনাজপুরের সচিব এর হিসাব নং ০০০০০৩৬০০০৪৪৩ এ মোট ৫ হাজার ৫৮ টাকা ফিস জমা দেওয়া হয়। বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোন তদন্ত করেননি। নির্ধারিত ফিস নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে না দেখে ৮ নভেম্বর ২০১৮ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য অবৈধভাবে গঠিত পকেট কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। স্থানীয় সুধী মহল জানান, অনিয়মের অভিযোগ দিয়ে যদি তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে জনগণ যাবে কোথায়। অবশেষে বাধ্য হয়ে গত ৩০ নভেম্বর ২০১৮ বিজ্ঞ সুন্দরগঞ্জ সহকারী জজ আদালত গাইবান্ধায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৭১/১৮ অন্য। মামলার সূত্র মতে ২০ সেপ্টেম্বর ১৮ নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা এবং ৬ নভেম্বর ১৮ ফলাফল ঘোষিত কমিটি অবৈধ ও বেআইনী বলে বাতিল ঘোষণার প্রার্থনা করেন বাদি পক্ষ। কমিটি গঠনে ভোটার তালিকা প্রণয়ন প্রক্রিয়া অনুসরণ,দাতা সদস্য নির্বাচনে আইনানুগ প্রক্রিয়া গ্রহণ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন বা খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং নির্বাচনের কোন নোটিশ প্রদান করা হয়নি বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে নিয়োগ বাণিজ্য হওয়ার কারণে এই অবৈধ কমিটি ১২ জুলাই ২০১৯ প্রধান শিক্ষকের শুন্যপদে নিয়োগ প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠান গুলোর অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয়ভাবে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে মামলা মোকদ্দমা হতো না। মামলা মোকদ্দমা হওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা বিঘিœত হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মন্ডলের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, প্রোগ্রামে আছি তাই এই মহুর্তে বিস্তারিত বলতে পারছি না।