লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম মিলন হত্যা মামলায় জামাল উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন দুই আসামীকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। সোমবার রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের চরচামিতা এলাকা থেকে অতিরক্তি পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেন ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
এ সময় জসিমের দেয়া তথ্যমতে ওই এলাকার একটি নির্মানাধীন বাড়ি থেকে বস্তাবন্দি ২টি বন্দুক,দুইটি এলজি ও ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। মিলনকে পূর্বশুত্রুতা ও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন, পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, মিলন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িত ইলিয়াছ কোবরা নামের এক আসামি নিজেদের অভ্যান্তরিন কোন্দল ও ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। আরো এ হত্যাকান্ডে যারা জড়িত রয়েছে,তাদের গ্রেফতারের পুলিশের অভিযান চলছে। পাশাপাশি অন্য যেসব হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে, প্রত্যেকটি ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশিরভাগ আসামি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও দাবী করেন পুলিশ সুপার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেন, পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জানাগেছে ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে একই উপজেলার আলাদাদপুর বাজারে খোরশেদ আলম মিলনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। মিলন দত্তপাড়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন।