নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠান স্থল থেকে একাধিক নেতার অত্যাধুনিক এন্ড্রয়েড মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ২২ অক্টোবর রেলওয়ে মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের আগমনের মুহুর্তে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৪ জন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের মোবাইল চুরি হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বাবু রমেশ চন্দ্র সেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মমতাজুল হক প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুস সামাদ মন্ডল। বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদল, সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার একরামুল হকসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ সম্মেলন শুরু হয় সকাল ১১ টায়। প্রথম পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ উদ্বোধক এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আগমনের সময় তাদের অভ্যর্থনা জানাতে স্থানীয় নেতারা যখন ব্যস্ত ঠিক সেই মূহুর্তেই সুযোগ সন্ধানীরা হাতিয়ে নেয় তাদের মুঠোফোন। বিশেষ করে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলীর ১ লাখ টাকা মূল্যের এ্যাপল মোবাইল, নীলফামারী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরু এর ২১ হাজার টাকা মূল্যের স্যামসাং মোবাইল, সৈয়দপুর উপজেলা বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মন্ডলের ১৬ হাজার টাকা মূল্যের স্যামসাং মোবাইল এবং পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা সারফারাজ মুন্নার ১১ হাজার টাকা মূল্যের টেকনো মোবাইল চুরি হয়ে যায়। অতিথিবৃন্দকে অভ্যর্থনা শেষে চুরির বিষয়টি টের পায় নেতৃবৃন্দ। এ সময় মুহুর্তে এ ঘটনা সম্মেলন স্থলে আগত সকলের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। এতে উপস্থিত সকলের মাঝে মোবাইল চুরি আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকে সম্মেলনস্থল ত্যাগ করে বলেও জানা যায়। সৈয়দপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ শাহজাহান পাশার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেলে মোবাইল উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হবে। ইতোপুর্বে বিভিন্ন জনের ১৬০টি চুরি ও হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।