দেশের নৃশংসতম ও আলোচিত ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায় আগামিকাল। মামলার রায় অনুষ্ঠিত হবে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে। তাই এ রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান পরিবারসহ স্থানীয়রা।
গত ২৭ মাচ সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দ দৌলা নুসরাতকে তার গোপন কক্ষে ডেকে শ্লীলতাহানী করে।পরে ঘটনাটি নুসরাত তার পরিবাকে জানালে তারা থানায় মামলা করে।একপযার্য়ে সেদিনই অধ্যক্ষকে আটক করে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ।কিন্তু থানায় অভিযোগ করায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ৬ এপ্রিল কৌশলে মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে নুসরাতের শরীরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
আগুনে নুসরাতের শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে যায়।পরে টানা ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেলে নুসরাত মৃত্যু বরণ করে।এরপরই হত্যাকান্ডে জড়িতরা দেশের বিভিন্নস্থান থেকে গ্রেফতার হতে শুরু হয়।এসময় উঠে আসে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দ দৌলা,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর মাকসুদ সহ ১৬ জন আসামীর নাম।আদাললতে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ১২ আসামি জবানবন্দী দেয়।
এসময় তারা বর্ণনা দেয় লোমহর্শক ঘটনার বিস্তারিত।তাই দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড হবে আশা করছেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার ও বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
দেশের ইতিহাসে প্রথম কনো মামলা ৬১ কার্যদিবসে শেষ হচ্ছে।আর মামলার মোট ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮৭ জন সাক্ষীর কেউ বলতে পারেনি এটি একটি হত্যাকান্ড। তাই আসামিরা বেকসুর খালাস পাবেন বলে আশা করছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু।
এদিকে নিজ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের ইশারায় সহপাঠীদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে নুসরাতকে।আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডে জড়িতরা ইতোমধ্যে স্বীকার করেছেন এবং অন্যান্যের নামও বলেছেন। তাই মামলায় সকলের সর্বোচ্চ সাজা হবে আশা বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু।
বর্বরোচিত এ হত্যাকান্ডের রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে সকলে।তাই সঠিক বিচারের মধ্যে দিয়ে দেশের আইনের শাসনে একটা নজির স্থাপন হবে মনে করছেন স্থানীয়রা।