স্থায়ী পূর্ণবাসনের পর পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের হাটখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় ধাপের এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্ধোধণ করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি পায়রা বন্দরের উপ সচিব ও যুগ্ম পরিচালক(এষ্টেট) খন্দকার নুরুল হক।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় ও ডেপলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পূয়র (ডরপ) এর আয়োজনে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের সদস্যদের জীবন যাত্রার উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেণ ডরপ এর টিম লিডার(প্রশিক্ষণ) জেবা আফরোজা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান, পটুয়াখালী ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা গকুল চন্দ্র কবিরাজ, লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস তপন, সাংবাদিক মেজবাহউদ্দিন মাননু, শিক্ষক রেজাউল করিম প্রমুখ।
এ প্রশিক্ষণে ৩৫০ জনকে ছয়টি ট্রেডে হাসঁস-মুরগী,গাভী পালন ও মোটাতাজাকরণ, উন্নত পদ্ধতিতে মৎস্যচাষ ও হাঁস-মুরগীর খাবার তৈরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
ডরপ এর টিম লিডার(প্রশিক্ষণ) জেবা আফরোজা বলেন, জমি অধিগ্রহনে যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে সেসব পরিবারের সদস্যরা যাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিকল্প আয়ের পথ তৈরি করতে পারে এজন্য এবারই বাংলাদেশ সরকার ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারকে পূণর্বাসনের পর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নিয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বলেন, সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে যাতে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার কর্মক্ষম হয়।
পটুয়াখালী ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা গকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারকে সরকার তিনগুন জমির মূল্য পরিশোধ করছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের টাকা উত্তোলনে যাতে প্রতারিত না হয় এজন্য সরাসরি এলএ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের অনুরোধ করেন।
পায়রা বন্দরের উপ সচিব ও যুগ্ম পরিচালক(এষ্টেট) খন্দকার নুরুল হক বলেন, এ প্রশিক্ষণ খুবই সহজ। তাই এ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হলে তাঁদের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ঋণ সুবিধা আছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের সদস্যরা কেউ বেকার থাকবে না।
উল্লেখ্য,পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় ও ডরপ এর উদ্যোগে পায়রা বন্দরে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ্য ৪২০০ পরিবারকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মমূখী করার উদ্যোগ গ্রহন করেছে সরকার। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ১১৩৪ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং দ্বিতীয় ধাপে ৬৬৬ জনকে নিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।