লক্ষ্মীপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তড়িৎ বিভাগের ১০ম শ্রেণির ছাত্র মো. রায়হান হোসেন (১৬) শিক্ষকের লাথিতে গুরুতর আহত হয়েছে। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
জানা গেছে, দুপুর সোয়া ১টার দিকে ১০ম শ্রেণির ছাত্র মো. রায়হান হোসেন পরীক্ষার হল কক্ষে বৈদ্যুতিক পাখার সুইচ অন করতে গেলে পরীক্ষার হল সুপার শামছুল আলম পেছন থেকে তাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এ সময় ওই শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে সহপাঠীরা তাকে হাসপাতালে নিতে গেলে প্রতিষ্ঠানের অপর শিক্ষক তারেক হোসেন বাধা দেন।
এসময় তিনি শিক্ষার্থীদেরকে বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন নেই, কিছুক্ষন পরে ছাত্রের জ্ঞান ফিরে আসবে। কিন্তু পরে ছাত্রের জ্ঞান ফিরে না আসায় তাকে ২টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এর আগেও ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে মারধর করেছে।
এদিকে শিক্ষক তারেক হোসেন জানান, প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক না থাকায় আহত ছাত্রকে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। মনে করেছি সে সুস্থ্য হয়ে যাবে। বাধা দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।
অপর দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক শামছুল আলম জানান, “তাদের প্রতিষ্ঠানে টিউটরিয়াল পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার নিধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পার হলেও পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ সময় প্রশ্ন নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করলে ছাত্র রায়হান এর সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে, এর বেশি কিছু জানি না”।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মাহবুবুর রশীদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, রায়হান হোসেন নামের একজন ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর থানার কর্মকর্তা ইনর্চাজ (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।