মণিরামপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত সন্তানের জীবন বাঁচাতে আবদুস সালাম নামের এক অসহায় পিতা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তিনি মণিরামপুর উপজেলার জালঝাড়া ফাজিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী শিক্ষক। শিক্ষকতা করে যে বেতন পান তা দিয়ে সংসার কোন রকম চলে আসছিল। হঠাৎ ছেলে মুতাসিম বিল্লাহ’র শরীরে ধরা পড়েছে দুরারোগ্য ক্যান্সার ও হিপ জয়েন্ট ড্যামেজ রোগ। যার চিকিৎসা অত্যান্ত ব্যয়বহুল।
অভাব-অনটনের সংসারে ছেলে-মেয়ের লেখাপড়াসহ অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করতে এমনিতেই হিমসিম খেতে হয় তাকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। যা অসহায় পিতার পক্ষে সম্ভব নয়। এ পর্যন্ত ছেলের চিকিৎসায় সব খুঁইয়েছেন তিনি। শিক্ষকতা করে যে টাকা পান তা বেতন থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধে কেটে নেয়া হয়। তবুও হাল ছাড়েননি বুকের ধন সন্তানকে বাঁচাতে। এজন্য সমাজের দানশীল ও বিত্তবানদের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন তিনি।
অসহায় পিতা জানান, তার পুত্র মুতাসিম বিল্লাহ আলীম পাশ করার পর দারিদ্র্যতার কারণে আর লেখা-পড়া করতে পারেনি। ২০১৬ সালে প্রথমে তার পুত্রকে যশোরের একটি হাসপাতালের চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম রঞ্জু পরীক্ষার পর অপারেশন করলে তার অন্ডকোষে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর তাকে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এসএম নাজমুল হাসানের কাছে চিকিৎসায় মুতাসিমের শরীরে পরপর ৬টি কেমোথেরাপী দেন। এদিকে কেমেথেরাপী দেয়ার দুই মাস পর থেকে সে ডান পাশের হিপ জয়েন্টে ব্যাথার কারণে চলাচল করতে পারে না। এরপর তাকে নেয়া হয় ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জন প্রফেসর ডাঃ রফিকুল ইসলামের কাছে।
পরীক্ষার পর তিনি জানান, মুতাসিমের ডান হিপ জয়েন্ট শুকিয়ে ড্যামেজ হয়ে গেছে। এটা দ্রুত অপারেশন করতে হবে। একদিকে ক্যান্সার অন্যদিকে হিপ জয়েন্ট অপারেশন সব মিলিয়ে ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। তাই বুকের ধন সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের দানশীল ও বিত্তবানদের কাছে আসহায় পিতা আবদুস সালাম সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন।
সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা বিকাশ নং-০১৯০৮১০২৪৪৩ অথবা মোঃ আবদুস সালাম, সঞ্চয়ী হিসাব নং-২৩২১৮০১০২৭০১৯, সোনালী ব্যাংক, মণিরামপুর শাখা।