পদ পদবী নিয়ে গ্রুপিং কিংবা জটিলতা না থাকা, সকল অঙ্গ-সহযোগি সংগঠন একত্রে দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন, দু উপজেলার রাজনিতিতে অভিভাবক প্রশ্নে সবার একাট্রা মনোভাব ও সমন্বয়হীনতা দূর সহ নানা কারণে গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়িতে বিএনপির রাজনিতি এখন অনেকটাই চাঙ্গা। পুর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে উজ্জীবিত তৃণমুলের রাজনীতি।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, আঁশির দশকে এ এলাকায় বিএনপির একটা শক্তিশালী অবস্থান ছিল। ১৯৭৯ সালে বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হন ফুলছড়ির রোস্তম আলী মোল্লা। আরেক বার ১৯৯৬ সালেও বিএনপি থেকে এমপি হন এ এলাকার রাজনৈতিক প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব মরহুম মতিয়ুর রহমান টুকু। মতিয়ুর রহমান টুকুর অকাল প্রয়াণের পর এখানে বিএনপি শক্ত অবস্থানে যেতে পারেনি। মতিয়ুর রহমান টুকুর সময় কালে সাংগঠনিক দিক থেকে ব্যাপক শক্তিশালী ছিল বিএনপি। এরপর দির্ঘদিন পরে দলে আবারও প্রতিভাবান আরেক জনের পদভারে এগিয়ে যাচ্ছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। নেতাকর্মির সমস্যায় এগিয়ে যাওয়া, দলে অধিক সময় দেওয়া ছাড়াও সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে ভুমিকা রাখছেন এই নেতা। বর্তমানে দলীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা ও শক্তিশালী ভীত স্থাপন করে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন দু উপজেলার বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক মো: ফারুক আলম সরকার। বিগত উপজেলা সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তিনি। উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ মিলন বলেন, সঠিক নেতৃত্ব আর দলকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মঈন প্রধান লাবু জানান, বর্তমানে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে সময় ব্যয় করা ছাড়াও নানা সংকটে যোগান দিচ্ছেন তিনি। সাম্প্রতিক বন্যায় দু-উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বানভাসি অসহায়দের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সহায়তা দিয়েছেন তিনি। মামলা মোকদ্দামা ছাড়াও জেলে থাকা নেতাকর্মীদের পরিবারের খোজ-খবরও রাখছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা: মঈনুল হাসান সাদিক বলেন, রাজনিতিতে এমন নেতৃত্বেরই দরকার, যিনি তৃণমুলে সময় দিবেন ও সংগঠনকে এগিয়ে নিবেন।