বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন ,যিনি গণতন্ত্রকে উদ্ধার করে ছিলেন যার নাম কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে আঁকা বেগম খালেদা জিয়া তিনি আজ মিথ্যা ২ কোটি টাকার মামলায় কারাগারে। শুরু তাই নয় মেগা প্রকল্প’র নামে মেগা দূর্নীতে করছে রাতের আধাঁরে ভোটে পাস করা সরকার। যেখানে ১০০ কোটির টাকার প্রকল্প সেখানে বাজেট হয় ১০০০ কোটি টাকা। তিনি বলেন, শুধু স¤্রাটকে গ্রেফতার করলে হবে স¤্রাটের স¤্রাট কে গ্রেফতার করতে হবে।
তিনি আরো বলেন ,শুদ্ধি অভিযানের নামে একের পর এক সাজানো নাটক করে সরকার জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নেয়ার চেষ্টা করছে। এটি শুদ্ধি অভিযান নয়, এটি আওয়ামী লীগের গৃহবিবাদের প্রতিফলন। শুদ্ধভাবে শুদ্ধি অভিযান চললে মন্ত্রীসভার অর্ধেকেরও বেশি সদস্য গ্রেফতার হবেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শুদ্ধি অভিযান যদি সত্যিই শুদ্ধ হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীরও পরিত্রাণ পাবার উপায় নেই। তিনি, শুদ্ধি অভিযানে নাম আসা রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের দাবিও জানান।
রোববার বগুড়া দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা যুবদলের উদ্যোগ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথাগুলো বলেন।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ন-আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম এর সঞ্চালনায় সমাবেশে তিনি আরোও বলেন, শেয়ার মার্কেটের টাকা লুট করে বিদেশ পাচার করেছে। যার কারণে দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের পথে। বর্তমানে কিছু বুদ্ধিজীবীর উত্থান হয়েছে। তারাই সরকারের গুণগান গেয়ে বেড়াচ্ছে।’
গয়েশ্বর এ সময় বলেন, ‘বিএনপি জনগণের দল। অথচ বগুড়ায় যুবদলের কর্মসূচিতে পুলিশের অনুমতি মেলেনি। সড়কে চৌকি ফেলে কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে খালেদা জিয়ার অবদান মানুষের হৃদয়ে রয়েছে।’ তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশত মুক্তি দাবী করেন তিনি।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টার সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, শেয়ার মার্কেটের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করার পরও সরকার তাকে উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছে। এটিই আওয়ামী লীগের লুটপাটের প্রকৃত চিত্র।
সমাবেশ শেষে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।এসময় বগুড়া -৬(সদর) আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাড. একেএম মাহবুবর রহমান,সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলবাট ডি কষ্টা, বিএনপি’র সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম ইসলাম খান, জেলা বিএনপি’র যুগ্ন-আহ্বায়ক এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জয়নাল আবেদীন চান, আলী আজগর তালুকদার হেনা, রেজাউল করিম বাদশা, এমআর ইসলাম স্বাধীন, মাহবুুবর রহমান বকুল, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, কেএম খায়রুল বাসার, শেখ তাহা উদ্দিন নাহিন, শহিদ উন নবী সালাম,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান, সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাব্বির হোসনে বাবলু,ফারুকে আজম
আতাউর রহমান শম্ভ,শাহনওেয়াজ সাজন, রাশদেুল ইসলাম,শফিকুল ইসলাম শফিক,মোস্তফা হানিফ সোহাগ, রেজাউল করিম লাবু, সাইফুল ইসলাম রনি, ফেরদৌস আজম সুমন, আহসান হাববি মমি,আদিল শাহরিয়ার র্গোকি হারুনুর রশিদ সুজন, আলী রেজা রুনু,আমনিুর রহমান শাহিন, আনোয়ার হোসনে সান্টু, তাজমনিুল ইসলাম বিচিত্র,মাহমুদুর হাসান প্রিন্স,এ্যাড. এনামুল হক পান্না,শরিফুল ইসলাম শামিম, ফিরোজ ওয়াহেদ, সুরুজ্জামান সুরুজ, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মিনহাজুল ইসলাম রিমন,ফরিদ আহমদে মুন, শাহাদৎ হোসেন সোহাগ, জুম্মান শেখ, রাশেদুল কবির রাশেদ,মেহেদী হাসান নয়ন,মোসলেম উদ্দিন স্বপন ,রেজাউল করিম,রায়হান শরিফ, মাসুম,জাহাঙ্গীর আলম বিপুল সহ বিএনপির সর্বস্তরের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।