যশোরে রাকিব সরকার (১৬) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে জেলা জজ আদালতের পরিত্যক্ত ভবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
রাকিব ওই ভবনে পালিত পিতা মাসুম শেখ সাথে তার মাতা ফরিদা বেগমের বসবাস করতো। সে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার বংকুলিয়া গ্রামের শাহিন সাগর সরকারের ছেলে। আর তার পালিত পিতা মাসুম শেখের যশোর আদালতের সামনে মুজিব সড়কে চায়ের দোকান রয়েছে। নিহতের মা ফরিদা বলেন, রবিবার রাত ৮টায় কিশোর রাকিব সরকার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ১০ টায় হঠাৎ তার শরীর ঠান্ডা হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাতে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কিশোর রাকিব সরকারের লাশ বাড়িতে এনে দাফনের প্রস্তুতি নিলেও মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হলে সোমবার সকালে কোতয়ালি মডেল থানা থেকে পুলিশ পরিদর্শক সমীর কুমার সরকার,পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শেহাবুর রহমান, কোতয়ালি মডেল থানার এসআই মাইনুল আহসান কবির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তর জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। কিশোর রাকিব সরকার মৃত্যুর ব্যাপারে রোববার দিবাগত রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক কল্লোল কুমার সাহা জানান,কিশোর রাকিবকে রাত ৩টার দিকে মৃত্যু ঘোষণা করে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে রাকিব সরকারের পতা শাহিন সাগর সাংবাদিকদের জানান, রাকিবকে খাদ্যে বিষক্রিয়ার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সমীর কুমার সরকার জানান, রাকিব সরকারের পিতা শাহিন সাগর সরকার অভিযোগ করেন,তার ছেলেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইন্সপেক্টর শেহাবুর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাকিব সরকারের লাশটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। কিশোর রাকিব সরকারের মাতা ফরিদা বেগমের সাথে রাকিবের জন্মদাতা পিতা শাহিন সাগর সরকারের র্দীঘ ৯/১০ বছর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ফরিদা নতুন করে একজনকে বিয়ে করে যশোর জজ আদালত চত্বরের পরিত্যক্ত ভবনে সেই স্বামীকে নিয়ে থাকতো ও আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের রান্না বান্নার কাজ নিয়েছিল। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় অপৃমত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।