ময়মনসিংহ নগরীর ব্রহ্মপুত্র ব্রীজের কাছে রেখে যাওয়া ট্রলি ব্যাগে যুবকের খন্ডিত লাশের পরিচয় ও হত্যারহস্য উদঘাটনের দাবি করেছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন।
সকালে ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্স দরবার হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, নিহত ব্যক্তির নাম বকুল। সে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার হুগলা গ্রামের ময়েজউদ্দিনের ছেলে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন জানান, গত ২১ অক্টোবর কে বা কারা ময়মনসিংহ নগরীর ব্রহ্মপুত্র ব্রীজের কাছে একটি লাল ট্রলি ব্যাগ রেখে যায়। ব্যাগের সাইজ ও ওজন সন্দেহজনক হওয়ায় বোম্ব ডিসপোজাল টিম দিয়ে ব্যাগটি খুলে হাত-পা ও মাথাবিহীন একটি দেহ পাওয়া যায়। এক ঘণ্টার ব্যবধানে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার একটি পা উদ্ধারের খবর জানায়। পরদিন কুড়িগ্রামের রাজাপুরে একটি ব্যাগে কাঁটা পা, দু’টি হাত ও ভ্যানেটি ব্যাগে একটি চিরকুটসহ মাথা পাওয়া যায়। ময়মনসিংহের পুলিশ বিষয়টি চাঞ্চল্যকর হিসেবে চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু করে। সিসি ক্যামেরার ছবি ও চিরকুটের সূত্র ধরে নেত্রকোনার পূর্বধলা, ময়মনসিঙহের তারাকান্দা ও গাজীপুরের বানিয়ারচালায় অভিযান চালিয়ে মো. ফারুক মিয়া ও তার ভাই হৃদয় মিয়া, বোন সাবিনা আক্তার এবং ভাই বউ মৌসুমী আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের দেখানো মতে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত একটি ছুরি, মোবাইল ফোন, একটি ব্যাগ ও এক টুকরো ইট আলামত হিসেবেউদ্ধার করে।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, এটা তার জীবনের সেরা ডিটেকশন। তদন্তের স্বার্থে সবকিছু বলা যাবে না। তবে হত্যাকা-ের সাথে সাবিনা ও বকুলের প্রেমঘটিত ব্যাপার থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত বকুলের নামে তিনটি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রীজের কাছে লাগেজ ট্রলিতে এক ব্যাক্তির খন্ডিত দেহ ও কুড়িগ্রামে হাত-পা-মাথা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীর নামে মামলা দায়ের করে।