বঙ্গোপসাগর উপকূলের চরে শুটকি আহরণ মৌসুম শুরু ১ নভেম্বর। এ দিন থেকে সুন্দরবনের দুবলার চরে শুটকি পল্লীতে জেলেদের কর্মব্যস্ততা শুরু হবে। মৎস্য আহরণে সোমবার থেকে উপজেলার সহ¯্রাধিক জেলে বঙ্গোপসাগরে উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। আবার কেউ কেউ প্রস্তুতি শেষ করে বুধবার যাত্রা করেন।
চলতি মৌসুমে উপজেলা থেকে সহ¯্রাধিক জেলে প্রায় দেড়শ ট্রলার নিয়ে সাগর পথে যাত্রা করেছে। উপজেলার হিতামপুর মালোপাড়া, রাড়-লী, কাটিপাড়া, নোয়াকাটি, মাহমুদকাটী, কপিলমুনি, কাশিমনগর, শাহপাড়া, আলমতলা সহ বিভিন্ন এলাকার জেলেরা ট্রলার ছেড়ে মোংলায় গিয়ে অবস্থান করবে। মোংলা থেকে পাসপার্মিট নিয়ে সমুদ্র যাত্রা শুরু করবে।
শুটকি আহরণ মৌসুমে বঙ্গোপসাগরের তীর আলোরকোল, মাঝের কোল, দুবলারচর, নারিকেল বাড়িয়া, শেলারচর সহ ৮টি চরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ২০ হাজার জেলে অবস্থান করবেন। সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ করে সন্দুরবনের চরে রৌদ্রে শুকিয়ে শুটকি তৈরী করেন। এজন্য ঙ্গোপসাগর উপকূলের চরে গড়ে তোলেন অস্থায়ী জেলে পল্লী। সুন্দরবনের দুবলার চরে শুটকি পল্লীতে জেলেদের শুরু হবে কর্মব্যস্ততা। জেলেরা ইতোমধ্যে তাদের ট্রলার, জাল, নঙ্গর সহ সকল সরঞ্জম নিয়ে বঙ্গোপসাগর পথে। এর আগে সমুদ্রে যাওয়ার জন্য এসব জেলেরা চড়া সুদে টাকা নিয়েছেন সুদে কারবারীদের কাছ থেকে। কেউ এনজিও, বিভিন্ন ব্যাংক ও সমিতি থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন। বনদস্যুদের হামলা, মুক্তিপণ ও অপহরণের শঙ্কা মাথায় নিয়ে দুচিন্তার মধ্য দিয়ে প্রায় অর্ধ বছর ভাসমান জীবন শুরু হয়েছে মৎস্য আহরণগামী জেলেদের।
উপজেলার মালোপাড়ার সমুদ্রগামী জেলে সিতেরাম এফএনএসকে জানান, তিনি ২টি ট্রলার সহ ১৬ জন লোক নিয়ে সমুদ্র যাত্রা করছেন। দুবলার চরে পৌঁছানোর পর অস্থায়ী ভাবে থাকার ঘর তৈরী করবেন। এই ৫-৬ মাস বনদস্যুদের মুক্তিপণ ও অপহরণের শঙ্কা রয়েছে। তার উপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলা করে মৎস্য আহরণ করবেন। আগেরমত বনদস্যুদের দৌরাতœ না থাকলেও অজানা শঙ্কায় দিন পার হবে তাদের।
সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল-আল-মামুন এফএনএসকে বলেন, প্রতিবছরের মত এবারও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন চরগুলোতে নভেম্বর থেকে শুটকি আহরণ মৌসুম শুরু হচ্ছে। জেলেদের নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন বিষয়ে বনরক্ষকরা সব সহযোগিতা করে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। শুটকি মৌসুম সামনে রেখে জেলেদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক সুন্দরবন ও উপকূলে র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।