জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে তাতে কিছু আসে যায়না অর্থলোভী কোচিং বাণিজ্যকারীদের। এমন অবস্থা বিরাজ করছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলসহ পৌর শহরের অলিতে-গলিতে। কোচিং নিয়ন্ত্রণকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক ভূমিকা ও মনিটরিং না থাকায় আইন অমান্যকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং প্রাইভেট পড়ানো উঠতি বয়সের যুবকসহ শিক্ষার্থীরা পার পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
মণিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাযায়, আসন্ন ২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। ফলে কোচিং সেন্টার এবং প্রাইভেট পড়ানো স্থানসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে এমন আশংকায় সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চলতি মাসের ২৫ অক্টোবর হতে আগামি ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সকল প্রকার প্রাইভেট এবং কোচিং বন্ধসহ ১০ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। এ ব্যাপারে তথ্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে বলা হয় কোচিং বন্ধের জন্য শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় শুধুমাত্র এসএমএস-এর মাধ্যমে নির্দেশ জারি করলেও এখনও পর্যন্ত লিখিত কোন আদেশ আসেনি।
সরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলসহ পৌর শহরের অলিত-গলিতে ঘর ভাড়া করে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে অর্থলোভী শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য এবং প্রাইভেট পড়ানো কারবার ইতিপূর্বের ন্যায় অব্যহত রয়েছে। ফলে সচেতন মহলসহ এক শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে নানা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, পৌর শহরে বিভিন্ন শিক্ষকের বাড়ী এবং স্থান উল্লেখসহ বে-পরোয়া কোচিং বাণিজ্যকারীদের নিয়ে ইতঃপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও মনিটরিং অথবা কোচিং বাণিজ্যকারী অর্থলোভীদের দমনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। যে কারণে কোচিং এবং প্রাইভেট বাণিজ্যকারীরা জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা সামনে রেখে আরো বেশী বে-পরোয়া হয়ে তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌর এলাকার কামালপুর সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মুনসুর আলী বলেন, আসন্ন জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে চলতি মাসের ২৫ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সকল প্রকার কোচিং বন্ধের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। একই বিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু বলেন, কোচিং নিয়ন্ত্রণকারী কমিটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে বিষয়টি উপজেলা পরিষদের মিটিংএ উপস্থাপন করা হবে।