কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কারা আসছেন নেতৃত্বে। এই সম্মেলন ঘিরে এলাকায় চলচ্ছে নানান আলোচনা। বিশেষ করে নেতৃত্বে কারা আসছেন, তা নিয়েই কৌতূহল সাধারন মানুষ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে। ২০০৪ সালে কালীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সস্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবার কালীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সস্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৭ নভেম্বর।
এবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জোরে-সোরে নাম আসছে ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আণোয়ারুল আজীম আনার,উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির সিদ্দীকি ঠান্ডু, বর্তমান সভাপতি সাবেক এমপি আবদুল মান্নান,ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, মতিয়ার রহমান মতি, মোস্তাফিজুর রহমান বিজুসহ অনেকের নাম সোনা যাচ্ছে। আগামি ১৭ নভেম্বর ত্রিবার্ষিক সস্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দলে সিনিয়র নেতারা বলছেন দীর্ঘদিন পরে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সস্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বর্তমানে সভাপতি পদে নাম শোনা যাচ্ছে বর্তমান ঝিনাইদহ ৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার ও সাবেক এমপি আবদুল মান্নান। আর সাধারন সম্পাদক পদে নাম শোনা যাচ্ছে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির সিদ্দীকি ঠান্ডু, চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, মতিয়ার রহমান মতি, মোস্থাফিজুর রহমান বিজু। এদিকে অনেকে বলছে আবদুল মান্নান ও এমপি আনারই আবার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক থাকছেন। অবশ্য কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন লবিং গ্রুপিং নেই তার পর ও নেতৃত্ব নিয়ে কথা। দলের সাধারন নেতা কর্মীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন ও বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে নেতৃত্বে কারা এবার আসছেন।
বর্তমানে কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন লবিং বা গ্রুপং নেই, কিন্তু এর আগে দলের মধ্যে লবিং গ্রুপং, ক্ষমতার দাপট, এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে অনেকে মারা ও গেছে।
এদিকে মতিয়ার রহমান মতি বলেছেন, বর্তমান সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক যদি পরিবর্তন না হয় তা হলে তিনি সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হবেন না। আর যদি বর্তমান সাধারন সম্পাদক এমপি আনার যদি এবার সাধারন সম্পাদক পদ ছেড়ে সভাপতি হন তা হলে তিনি সাধারন সম্পাদক পদের প্রার্থী হবেন। অপর দিকে মোস্তাফিজুর রহমান বিজু বলেছেন তিনি সাধারন সম্পাদক পদে একজন প্রার্থী। কালীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সস্মেলন ২০০৪ সালে বাস টার্মিনালে জাঁকজমক পূর্ন ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।