রংপুরের পীরগাছায় প্রধান শিক্ষকের পিটুনির শিকার সেই শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গভীর রাতে হাসপাতাল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির লোকজন। ফলে আহত শিক্ষার্থীকে নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোস্যাল মিডিয়াসহ গোটা উপজেলা জুড়ে চলছে ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, উপজেলার নাছু মামুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম গত শনিবার ওই স্কুলের শাওন মিয়া (১১) নামের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। এতে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসার পর ওইদিন গভীর রাতে প্রধান শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল আমিন বুলেটের লোকজন শিক্ষার্থীর পিতা হয়রত আলী ও শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি দেখান এবং রাতের মধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে না গেলে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেন। ফলে তাদের চাঁপের মুখে গভীর রাতে শিক্ষার্থী শাওনকে নিয়ে তার পিতা গোপনে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর বাগি পাশর্^বর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার ঠাকুরবাড়ি গ্রামে।
শিক্ষার্থীর বাবা হয়রত আলী বলেন, অনেক লোকজন নিয়ে আমাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আমি সন্তানকে নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। আমরা গরীব মানুষ। তাই বিচার কোথায় পাব?
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. জুয়েল তরফদার জানান, ওই শিক্ষার্থী ও তার বাবা রাতে হাসপাতাল থেকে চলে গেছে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই তারা চলে গেছে। কোন ভয়ভীতি দেখানো হয়নি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল আমিন বুলেট বলেন, আমাদের লোকজন ওই শিক্ষার্থীর সাথে রয়েছে। তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়নি।