আন্তঃজেলা তালা কাঁটা চোরচক্রের আট সদস্যকে চোরাই ট্রাক ও ২২ লাখ টাকার মালামালসহ আটক করেছে যশোরের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি পুলিশ)। খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জ ও কুষ্টিয়ায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ স্টাইলে চুরি করছিল। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় মামলা রয়েছে। রোববার দুপুর দেড়টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত ৩০ জুন যশোর শহরের বকচর এলাকায় ইস্টার্ন মোটরস ও ৯ সেপ্টেম্বর ঝিকরগাছা উপজেলার কীর্ত্তিপুর এলাকার হাবিব টায়ার হাউজে চুরি হয়। চোরেরা ওই দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডিবি ওসি মারুফ আহম্মেদের নেতৃত্বে এসআই অরুণ কুমার দাস, এসআই শামিম হোসেনসহ একটি টিম গত ৩০ অক্টোবর থেকে খুলনা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া ও সিরাজগঞ্জ জেলায় অভিযান চালান। এ সময় আন্তঃজেলা তালা কাঁটা চোরচক্রের আট সদস্যকে চোরাই ট্রাক ও ২২ লাখ টাকার মালামালসহ আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা চুরির কথা স্বীকার করে এবং জানায় তারা প্রথমে টার্গেট ও পরে চুরি করে। গত ৫-৭ বছর ধরে ঢাকাসহ দেশের ১৭ জেলায় চুরি তারা এ স্টাইলে করছে এবং তাদের দলের সদস্য সংখ্যা ২০।
আটককৃতদের যশোর কোতোয়ালি ও ঝিকরগাছা থানায় দায়ের করা চুরি মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, চোরদলের সরদার বরগুনার আমতলি উপজেলার মানিকজুড়ি গ্রামের শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের মনির হোসেন, কালিপুর গ্রামের বাবু মোল্লা, ভোলার লালমোহন উপজেলার হরিগঞ্জ বাজার এলাকার আফসার, পটুয়াখালী সদর উপজেলার বহলগাছিয়া গ্রামের আবুল কালাম, কলাপাড়া উপজেলার গিলাতোলা গ্রামের মনোয়ার হোসেন, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার রানীনগর গ্রামের মফিজ হোসেন ও সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলার হাটিকুমড়ুল এলাকার আবুল কালাম আজাদ।