আমতলী উপজেলা পূর্ব সোনাখালী গ্রামে গ্রামে সন্ত্রাসীদের হামলায় মহিলাসহ চার জন আহত হয়েছে। আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনা ঘটেছে রোববার রাতে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার পূর্ব সোনাখালী গ্রামের সোনা মিয়া হাওলাদারের বাড়ী পাশে সহুল মৃধার ধানের বীজ ক্ষেত রয়েছে। ওই ক্ষেতে সোনা মিয়া তার চারটি গরু বেঁধে ধানের বীজ খাওয়াচ্ছিল। রোববার সন্ধ্যায় বীজ ক্ষেতের মালিক ক্ষেতে গরু বাঁধা দেখে একটি গরু তার বাড়ীতে নিয়ে আটকে রাখে। রাতে সোনা মিয়া, জালাল ও খলিলসহ ১০/১২ সন্ত্রাসী নিয়ে সহুল মৃধার বাড়ী থেকে গরু ছিনিয়ে আনতে যায়। এ সময় ওই গরু নিতে বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা হাজেরা বেগম, শফিকুল ইসলাম মৃধা, খোকন মৃধা ও জসিম মৃধাকে বেধরক মারধর করে গরু নিয়ে আসার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে গাজীপুর ফাড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ গরুটি উদ্ধার করে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মোঃ মাহবুব হাওলাদারের জিম্মায় রেখে আসেন। স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত শফিকুল বলেন, ধানের বীজ ক্ষেতে গরু বেঁধে বীজ খাওয়াচ্ছিল সোনা মিয়া হাওলাদার। একটি গরু আমি বাড়ী এনে বেঁধে রাখি। সোনা মিয়া হাওলাদার রাতে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে গরু ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে আমরা বাধা দিলে আমাদের বেধরক মারধর করেছে।
সোনা হাওলাদারের ছেলে জালাল হাওলাদার হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমাদের গরু সহুল মৃধা আটকে রাখে। ওই গরু আনতে গেলে তারা আমাদের ধাওয়া করেছে।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মোঃ মাহবুব হাওলাদার বলেন, গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির এএসআই তাইফুর একটি গরু আমার জিম্মায় রেখে গেছেন।
গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির এএসআই তাইফুল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে গরুটি উদ্ধার করে দফাদারের জিম্মায় রেখে এসেছি।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মনোরঞ্জন মিস্ত্রি বলেন, খবর পেয়েছি। এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।